
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের কথা বলতে চাই। আমাদের এখানে নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশালের লোকজন সবাই নেতৃত্ব দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে। অন্য জেলা থেকে এসে নেতৃত্ব দেন, অথচ নারায়ণগঞ্জের মানুষদের সহ্য করতে পারেন না। হীনমন্যতা, ছোট মন।
বুধবার (১৮ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই আসনে মনোনয়ন চাইবে এমন অনেকে আছেন কুমিল্লা ও বরিশালের। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। যত প্রতিযোগীতা হবে তত কর্মক্ষমতা বাড়বে। একা দৌড়ে প্রথম হওয়ার মধ্যে আনন্দ নেই। প্রতিযোগীতা হলে যোগ্যতা, দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এখানে ভয়ের কী আছে।
তিনি বলেন, নেতৃত্ব দেয়ার মালিক আল্লাহ। আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন একসময় সিদ্ধিরগঞ্জ সোনারগাঁ এক ছিল। সোনারগাঁয়ের মানুষের সাথে আমার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে সেসময়। আমি কর্মীদের ভালবাসি। সেটা তারা ভুলতে পারেনি। সেকারণেই আজও তারা আমাকে ভালবাসে।
অনেকে সোনারগাঁয়ে ফেস্টুন টানিয়েছে গিয়াসউদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে দেখতে চাই। তারা চাইতে পারে, আমি এটাকে সম্মান করি। আমি জেলা বিএনপির নেতৃত্বে ছিলাম যখন দলের সবচেয়ে দুঃসময়। আমি সেখানেও জেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত রেখেছি। সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছি। তাই আমার সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের যেখানেই আমাকে দল চাইবে আমি সেখানেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত। দল যদি আমাকে না দেয় সেখানেও আমার কোন দুঃখ থাকবে না।
তিনি বলেন, আমার নেতাকর্মীদের অনেকে বলেছেন সোনারগাঁয়ে আমাকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আমি বলেছি এটা কী অধ্যাপক রেজাউল করিম সাহেব বলেছে? খন্দকার আবু জাফর সাহেব বলেছে? আপেল কিংবা কোন শিক্ষিত ভদ্রলোক বলেছে? তারা বলল না। আমি বলেছি তাহলে এখানে আমার কোন কথা নেই। তারা যদি বলত তাহলে তাদের সাথে কথা বলতাম। এদের বাইরে কেউ বললে বলতে পারে। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমাকে গালি দিক, আপনারা কেউ কথা বলবেন না। আমি বয়োজ্যেষ্ঠ, আমাকে অনেক কিছু সহ্য করতে হবে।