
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে উপজেলা ও থানা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিনা বাধায় অষুধ বিক্রির রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে একশ্রেণী হাতুড়ে ডাক্তার খ্যাত অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে পরিদর্শণে দেখা যায় বন্দর উপজেলা ও থানা এলাকার প্রায় প্রতিটি অলি-গলি এবং রাস্তার মোড়ে কিংবা লোকাল মার্কেটে শত শত অবৈধ অষুধ বিক্রির দোকান গড়ে উঠেছে। ফার্মেসী হিসেবে জুড়ে বসা এসব ব্যবসায়ীদের আদৌ কোন ড্রাগ লাইসেন্স,ট্রেড লাইসেন্স অথবা গ্রাম্য ডাক্তার হিসেবে প্রশিক্ষণ না থাকলেও প্রতিদিনই এরা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে কোন প্রকার প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দেদারছে অষুধ বিক্রি করে চলেছে।
অতি সম্প্রতি বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের পূর্ব হাজীপুর এলাকার মৃত খন্দকার আঃ আউয়াল মিয়ার ছেলে রাজু আহাম্মেদ(৪০) নামে জনৈক লিভারের রোগী একই এলাকার ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন আয়েশা ফার্মেসী নামক একটি দোকানে প্রেসক্রিপশন দিয়ে অষুধ আনতে গেলে তাকে ভুল অষুধ দিয়ে দেয়। পরে অষুধ সেবন করার কয়েক দিন পর রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে ফের ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হতে হয়। এদিকে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী অষুধ কেন দেয়া হলোনা জানতে চাইলে ফার্মেসী মালিক আজাদ তার উপর উত্তেজিত হয়ে পরে। এক পর্যায়ে তাকে মারধরও করতে চায়। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যারও হুমকি দেয়া হয়। একেতো ভুল অষুধ তার উপরে নিরীহ মানুষের উপর তাদের জুলুমবাজীর বিষয়টি এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করছে। এসব ভূয়া ফার্মেসীর ভূল অষুধ বিক্রির কারণে বন্দরের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় প্রতিনিয়তই মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং জীবন শংকার মধ্যে রয়েছে। জন সাধারণে জীবন বাঁচানোর স্বার্থে বিষয়টি বিবেচনায় এনে এসব ভূয়া অষুধ বিক্রির প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে উপজেলা,থানা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।