সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক সেবনকারী, ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল
ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল বলেছেন, আজ সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়েই চলছে। কারা এসকল সন্ত্রাস, ছিনতাই, মাদকব্যাবসা করে। তারা অন্য গ্রহ থেকে এসে এগুলো করে না। আমার ভাই, বন্ধু ও সহকর্মীরাই হয়ত এর সাথে জড়িত। এই দায়িত্ব শুধু প্রশাসনকে দিলে হবে না। আমাদেরও এর দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা মাদক বিক্রেতার বিরুদ্ধে দাড়ালে আমার সন্তান সুরক্ষিত থাকবে। বাংলাদেশ সঠিক পথে চলবে এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা আগামী দিনে আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখার জন্য আজকের এই পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি। এমন অত্যাচার, জুলুম বাংলাদেশের মানুষ আগে দেখেনি।
গতকাল সোমবার (২৩ জুন) বিকালে মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক সেবনকারী, ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। সমাবেশে পরে বাশিঁ নিয়ে লাঠি মিছিল বের করে এলাকাবাসী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অতীতে সরকারগুলো রাজনৈতিক দল ছিল। বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক দল নেই। খুনী হাসিনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে অবস্থা করেছিল। তারা পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিনত করেছি। পুলিশ জনগণের বন্ধু হওয়ার বদলে জনগণকে ভয় দেখাতো, মানুষকে গুলি করে পঙ্গু করে দিত। ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর শেখ হাসিনার মত পুলিশ বাহিনীর প্রতিও মানুষ ক্ষোভ দেখিয়েছে। সেই কারণে পুলিশও তার কার্যক্রম সীমিত করে রেখেছে। বর্তমানে সরকারের কোন প্রতিনিধি সমাজে নেই। রাষ্ট্র আমাদের, সরকারে যেই থাকুক। এই রাষ্ট্রকে সুন্দর রাখার কমিটমেন্ট আমাদের। শহীদদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলব।
তিনি আরও বলেন, আমরা শহীদের জাতি। বাংলাদেশটা আমরা পেয়েছি ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে। আমাদের পূর্ব পুরুষেরা রণাঙ্গনে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছে। চাঁদাবাজরা এই সুন্দর বাংলাদেশ নষ্ট করতে পারে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। ঈদের আগে আমি বলেছিলাম আপনাদের সন্তানকে ভাল হয়ে যেতে বলেন। নয়ত আপনার সন্তানকে মানুষ বেঁধে আইনের আওতায় দিবে। এই পর্যন্ত মাসদাইর থেকে দশজন ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে দিয়েছে মানুষ। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে চাই। প্রয়োজনে আমরা দিন রাত পাহাড়া দিবো। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারও কাছে নেই। আপনারা তাদের ধরে খবর দিবেন, পুলিশ এসে তাদে ধরে নিয়ে যাবে। এই এলাকার অনেক ছেলে যাদের রাতদিন দোকানে অলিগলিতে দেখা যেত, এখন কী দেখা যায়। তারা বিবেকের তাড়নায় পালিয়ে গেছে। সে সকল কুখ্যাত লোকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। তারা আইনের আওতায় চলে যাবে। কিন্তু সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কোন ছাড় নেই। তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।
