
ফাইল ছবি
টেকসই, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক এবং আধুনিক রেলওয়ে নেটওয়ার্ক নির্মাণের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে সরকার জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬-এ সড়ক ও রেল পরিবহন খাতের উন্নয়নে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে।
সোমবার (২ জুন) বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সরকার বিদ্যমান ‘রোড মাস্টার প্ল্যান ২০০৯’-কে হালনাগাদকরণের উদ্যোগ নিয়েছে, যার লক্ষ্য পরিবেশবান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। এই উদ্যোগ বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের সুষ্ঠু পরিচালনা এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রেলওয়ে খাতের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিরাপদ, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী বাহন হিসেবে রেল বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে এই খাতে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে সরকার ৩০ বছর মেয়াদি রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। এই মহাপরিকল্পনার অধীনে রেলওয়েতে ডাবল লাইন নির্মাণ, বিভিন্ন গেজকে একীভূত করা, আধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন, সমুদ্র বন্দরের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন, উন্নত লোকোমোটিভ ব্যবহার এবং বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন চালুর মতো পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে যশোর পর্যন্ত রেল চলাচল ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং যমুনা রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সেখানেও ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, বাজেটে টায়ার উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের উপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও, ১৬-৪০ আসন বিশিষ্ট বাস এবং ১০-১৫ আসন বিশিষ্ট মাইক্রোবাসের শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ গণপরিবহনকে আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে তুলবে বলে আশা করা যায়।