শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

|

জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

প্রতারক ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বাচঁতে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ৪ মে ২০২৪

প্রতারক ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বাচঁতে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলন

’প্রতারক ইয়াসমিনের হাত থেকে বাচঁতে চাই’ এমন দাবিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। 

এসময় ভুক্তভোগীরা প্রতারক ও মাদক ব্যবসায়ী ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। প্রতারক ইয়াসমিন কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়াপাড়া এলাকার আফতাব উদ্দিনের মেয়ে। 

শনিবার দুপুরে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে কাঞ্চন পৌরসভার স্থানীয় এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করে ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।  

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মাসুদা আক্তার বলেন, ইয়াসমিনের সাড়ে ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করার পরও তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি মামলা করেন। 

একই এলাকার সুলতান মিয়া বলেন, গত ৫ বছর আগে ইয়াসমিন আক্তারের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা ধার নেয়। পরে সেই টাকা পরিশোধ করার পরও পুলিশ দিয়ে হয়রানী করে তিন দফা টাকা নেন। তার ছেলে লালনকে গ্রেপ্তার করিয়ে হয়রানি করে। 

রুস্তম আলী অভিযোগ করে বলেন, ইয়াসমিনের সঙ্গে গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে তর্কবিতর্ক হয়। পরে ইয়াসমিন তাকে হয়রানী করতে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করে হয়রানী করেন। 

শহিদুল্লাহ বলেন, প্রতারক ইয়াসমিন বিভিন্ন সময় আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করত। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াসমিনের বাড়িতে পিঠা বানাতে না আসায় কেন্দুয়াপাড়া এলাকার মাসুদা বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে মাথা ফাটিয়ে দেন তিনি।  

ইয়াসমিনের স্বামী ফারুক মিয়া বলেন, ইয়াসমিনের প্রতারণার কথা জানতে পেরে তাকে আমি দুইবার তালাক দেই। পরে ইয়াসমিন আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে ইমাম সাহেবের মাধ্যমে পুনরায় বিবাহ সম্পন্ন হয়। প্রতারণা ও মাদক ব্যবসা শুরু করায় আমি নিষেধ করলে আমার কথা শুনেনি। যার ফলে আমি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেছি। এখন আমাকেসহ এলাকাবাসীকে হয়রানির চেষ্টা করছে।

এ ব্যাপারে ইয়াসমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার স্বামী ফারুক মিয়া আমাকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠান। আমি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছি।