নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাসমিন আক্তার
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাসমিন আক্তার বলেছেন, দুটি মরাদেহ এখন শনাক্তে আমরা কাজ করছি৷ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আপনাদের সহযোগিতা আমাদের কাম্য।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে যে কয়টি অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে সে ব্যাপারে ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। গতকাল ফতুল্লায় যে অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গিয়েছে সে ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে ছেলে মাদকাসক্ত ছিল, তার বাবা ও মা অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সোনারগাঁয়ে এক মাদক ব্যাবসায়ী আরেক মাদক ব্যাবসায়ীকে মেরে ফেলে রেখেছে। যিনি মেরেছেন তিনি রূপগঞ্জের।
তিনি আরও বলেন, আড়াইহাজারে আমাদের সাতটি টহল দল রয়েছে। যে এলাকাগুলোতে ডাকাতি হয় সেগুলো তিন চার কিলোমিটার ভেতরে। সেখানে পায়ে হেঁটে যেতে হয়। পুলিশ তো গাড়ি নিয়ে সেখানে যেতে পারে না। গত মাসে আড়াইহাজারে যে ডাকাতি হয়েছে সে ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরা বেশিরভাগ জামিন পেয়ে এসেছে আবার চলে যাচ্ছে। আমরা ডাকাতদের গ্রেপ্তার করি তারা আবার জামিনে চলে আসে।
তিনটি জেলা থেকে পরস্পর যোগসাজশে এখানে ডাকাতি হয়। তারা ডাকাতি করে আবার চলে যায়। এখানে চুরি ছিনতাই বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, দিনে ও রাতে আমাদের ৬৮টি টহল চলছে। আমাদের এটা নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট হচ্ছে কারণ বেশিরভাগ মানুষই ভাসমান মানুষ। তারা ছিনতাই করে আবার চলে যাচ্ছে। গতমাসে ও এর আগের মাসে যত চুরি হয়েছে সেগুলোর আসামি ধরা হয়েছে। তবে এরা ভাসমান মানুষ হওয়ায় আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট হচ্ছে।
রূপগঞ্জে গতমাসে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সেখানে যৌথ অভিযান হয়েছে।

