শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

|

আষাঢ় ৫ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বন্দর ফাযিল মাদ্রাসার সভাপতি আরিফের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ১৮ আগস্ট ২০২৪

বন্দর ফাযিল মাদ্রাসার সভাপতি আরিফের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

ফাইল ছবি

বন্দর ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্নসাৎ এর অভিযোগ তদন্তসহ অনতিবিলম্বে নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে মাদ্রাসার হলরুমে এ সংক্রান্তে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি হয়ে লুটপাট চালিয়েছে। নানা বাহানায় সে মাদ্রাসার প্রায় কোটি টাকা আত্নসাৎ করেছে। তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাকে আইনের আওতায় এনে এর সুষ্ঠ বিচার করা জরুরী।  

পরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বন্দর ফাযিল মাদ্রাসার (২য় বর্ষের ছাত্র) সমন্বয়ক মেহেদি হাসান,আলীম প্রথম বর্ষের মেহেদি হাসান,জিহাদুল ইসলাম ও নবম শ্রেণীর আবু নাঈম ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল বের হয় মিছিলটি মাদ্রাসার প্রাঙ্গন হতে শুরু করে বন্দর শাহী মসজিদ,পল্লী বিদ্যুতের মোড়,খালপাড়,সালেহনগরসহ বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা হৈ হৈ রৈ রৈ আরিফ তুই গেলি কৈ,পলাইছেরে পলাইছে আরিফুলে পলাইছে ইত্যাদি শ্লোগানের মুখরিত করে তোলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বন্দর ফাযিল মাদ্রাসার (২য় বর্ষের ছাত্র) সমন্বয়ক মেহেদি হাসান সাংবাদিকদেরকে জানান,আজকে আমাদের কর্মসূচী ছিল মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ সাহেব তার সরকার দলীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে জোরপূর্বক ১৫ বছর ধরে সভাপতি হয়ে নানা অপব্যবহার এবং ৮০ লাখ টাকার দূর্ণীতি করেছেন। তিনি প্রতিটি শিক্ষককে জিম্মি করে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা খর্বসহ নানা অনিয়ম করে আসছেন। আমরা চাই তিনি যেন স্বশরীরে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে তার স্বচ্ছতার জবাব দিয়ে যান। । এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাজমুল হাসান আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,কোটি টাকা অর্থ আত্নসাতের তথ্যটি সঠিক নয়। এখানে অর্থ আত্নসাতের বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই কেন না এই মাদ্রাসার এ্যাকাউন্ট হোল্ডার কেবল সভাপতি একা নন মাদ্রাসার অধ্যক্ষও রয়েছেন। দু’জনের সাক্ষর ছাড়া এ্যাকাউন্ট থেকে কোনভাবেই টাকা উত্তোলন বা আত্নসাত সম্ভব নয়। তাছাড়া প্রতিবছর মাদ্রাসার এ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সব বিষয়ে মিনিষ্ট্রি থেকে অডিট হয়। সর্বোপরি আমি যখন থেকে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছি তখন থেকে অদ্যাবধি যাবতীয় রেজিষ্ট্রার তথা আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।