
প্রতীকী ছবি
এক যুগ আগে মাসব্যাপী যাত্রাপালা চলায় সেই মাঠের নাম হয় যাত্রার মাঠ। ফতুল্লার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশেই এ যাত্রার মাঠ। প্রায় ১০ একরের ওই জমির পুরোটাতেই বাঁশের খুঁটি আর টিনের বেড়া দিয়ে প্রায় দুই শতাধিক ছাপড়া ঘর তৈরি করে গার্মেন্টসের ঝুটের গোডাউনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এ জমির এক পাশে ইসদাইর ও আরেক পাশে দক্ষিণ সস্তাপুর আবাসিক এলাকা। এখানে শত শত ছোট-বড় বহুতল ভবনে বসবাস করে লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া এ জমির সঙ্গেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ কর কমিশনারের কার্যালয়। সব মিলিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়াই গড়ে উঠেছে ঝুটপট্টি। এর মধ্যে মঙ্গলবার ভোরে ছোট একটি ঝুটের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূতেই ওই গোডাউনসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার ঝুট পুড়ে যায়। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের ডাক চিৎকারে ঘুম ভাঙে এলাকাবাসীর। আগুনের লেলিহান শিখা আকাশ ছুঁয়েছে। দুটি আবাসিক এলাকার মানুষ ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ড দেখে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা জানান, ঝুট গোডাউনপট্টির যাত্রার মাঠে একজনের জমি নয়। এখানে অনেকের জমি রয়েছে। এ জমিতে প্রায় দুই শতাধিক ঝুটের গোডাউন রয়েছে। এতে ঝুট বাছাইয়ের কাজ করেন প্রায় এক হাজারের বেশি নারী-পুরুষ। প্রতিটি গোডাউনে রয়েছে বিদ্যুৎসংযোগ। চলে অসংখ্য ফ্যান ও লাইট। তবে অধিকাংশ গোডাউনেই অবৈধ বিদ্যুৎসংযোগ রয়েছে। অনেকেই বৈধ বিদ্যুৎসংযোগের গোডাউন থেকে ভাড়া হিসেবে বিদ্যুৎসংযোগ নিয়েছে। এ পট্টিতে দৈনিক কয়েক হাজার টন ঝুট ক্রয় বিক্রয় হয়। ঝুটের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ পট্টিতে রয়েছে মাদক, সুদের ব্যবসা, দালাল প্রতারকরাও সক্রিয়। মঙ্গলবার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আরাফাত ভূইয়া রোহিত জানান, তার গোডাউনের জমির মালিক থেকে জমি ভাড়া নিয়েছে সাইফুল নামে এক ব্যক্তি। সেই সাইফুল ৪০ ফুট লম্বা ২০ ফুট পাশে একটি গোডাউনকে দুই ভাগে ভাগ করে এক ভাগ তার কাছে ভাড়া দিয়েছে। আরেক ভাগ সিদ্দিককে ভাড়া দিয়েছে। ঝুটপট্টির খালের পাশে একটু ফাঁকা জায়গায় তাদের গোডাউন হওয়ায় আগুন আশপাশে ছড়াতে পারেনি। এর মধ্যে খালের পানি দিয়ে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিস মিলে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে।