
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কাজী শাহাজাদার বিরুদ্ধে জমিসহ দোকান দখলের অভিযোগ উঠেছে। দখলের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী। গত সোমবার নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ৫নং আদালতে তিনজনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দায়ের করেন একই এলাকার কাজী কুতুবউদ্দিনের ছেলে কলেজছাত্র কাজী জুদান। এর আগে গত ৩১মে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেয় অভিযুক্তরা। পরদিন তালতলা তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারনে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থ্ ানেয়নি।
জানা যায়,উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর কাজীপাড়া গ্রামের কাজী কুতুবউদ্দিনের ছেলে কাজী রিদোয়ান ২ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে নামজারি করে ২০বছর ধরে দোকান নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি একই গ্রামের মৃত কাজী ইউনুস মিয়ার ছেলে ও জামপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কাজী শাহাজাদা, ভাতিজির জামাই আরিফ ইসলাম ও ভাতিজি কাজী আয়েশা আক্তার ওই জায়গা নিজের দাবি করেন। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ওই জমি কাজী রিদোয়ানের বলে রায় দেওয়া হয়। এ রায় অমান্য করে কাজী আয়েশা আক্তার নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নিজেদের প্রমাণ দিতে না পারায় ২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারী স্ব স্ব দখলে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের রায় অমান্য করে গত ৩১মে শনিবার তারা পুনরায় ওই জমিতে গড়ে উঠা দোকানে গিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কাজী রিদোয়ানের ছোট ভাই কাজী জুদান বাদি হয়ে পরদিন তালতলা তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে গত সোমবার নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ৫নং আদালতে তিনজনকে আসামী করে কলেজ ছাত্র কাজী জুদান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মুড়াপাড়া সরকারী কলেজের ছাত্র ও মামলার বাদি কাজী জুদান জানান, এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয় দিয়ে তার সংসারসহ পাড়াশোনার খরচ চালাতে হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করে বন্ধ করে দেওয়ায় তারা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। অভিযুক্তরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে হামলা ও ভাংচুর করেছে।
অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা কাজী শাহাজাদাকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও পরিদর্শক আব্দুল হক বলেন, দোকান দখল ও ভাংচুরের ঘটনার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। ভূক্তভোগীরা পুলিশকে সময় না দিয়েই আদালতে মামলা দিয়েছেন।