
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিগত কয়েক বছরে আলোচনায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আজিজুল ইসলাম রাজীব। পাঁচ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পরেও রাজপথে সক্রিয় আছেন রাজীব
বিগত সময়ে বিএনপি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা দাবীতে রাজপথে ব্যাপক সক্রিয় হলে নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে থাকেন রাজীব। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নজরে আসেন রাজীব। তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের টার্গেট হন তিনি।
২০২৩ সালের ১৪ জুলাই নিউইয়র্কে বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে উঠে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
ঘটনার পরের দিন ১৫ জুলাই সন্ধ্যার পর শহরের কলেজ রোড এলাকায় তোলারাম কলেজ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এসময় ছাত্রদলের দুই কর্মীকে আটকে মারধর করতে থাকে রিয়াদ।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কর্মীদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যান রাজীব। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথেই রাজীবের উপর আক্রমন করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় রাজীবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরবর্তীতে রাজীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসেন রাজীব। এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই হামলার ক্ষতচিহ্ন। তবুও দমে যাননি।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তোলারাম কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের নিয়ে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রাজীব। শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আন্দোলন করার পাশাপাশি খাবার পানি দিয়ে আন্দোলনকারীদের সহায়তা করেন এই নেতা।
পাঁচ আগষ্টে আওয়ামী লীগের পতনের পর নারায়ণগঞ্জ শহরে চাঁদাবাজি রোধে শহরজুড়ে প্রচারণা চালান রাজীব। গত বছর নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্তির পর থেকে শহরে ছাত্রদলের ব্যানারে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে আসছেন এই ছাত্রদল নেতা।