
শান্তি সমাবেশে শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩,১৪,১৫ সালে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কেমন রাজনীতি হয় জানিনা। আবার নতুন করে একই কাজ তারা শুরু করেছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে থানা আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে গতকাল ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছে। সব যায়গায় এমন করা হচ্ছে ট্রেনের বগিতে আগুন দেয়া হচ্ছে। মানুষকে আগুন দিয়ে মেরে কি লাভ হচ্ছে আমার প্রশ্ন। লন্ডন থেকে বসে খুনি তারেক এসব করাচ্ছে। ক্ষমতার ধারের কাছেও তারা নাই। বাংলাদেশ যেন আফগানিস্তান হয় সে লক্ষ্যে এ ধরনের কাজ করছে।
যারা আগুন দিচ্ছে তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা তাদের মাঠে নামাচ্ছে তাদের নেতাদের নির্দেশে তারা তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। সকলের ছবি ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের সাজা হয়ে যাবে। তাই তাদের অনুরোধ করছি ফিরে আসতে।
নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে, এদিক সেদিক হবেনা। নির্বাচনে বিপুল ভোটে আবারো শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবে। আমাদের ইচ্ছা ছিল মাঠে খেলার কিন্তু খেলার মাঠে কেউ নাই। এখন রাতের আধারে তারা মানুষকে পুড়িয়ে মারতে চেষ্টা করে। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তারা তো খেলার উপযুক্ত নয়।
দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেটদের নির্বাচনে জয়ের পর কঠোরভাবে শাস্তির আওতায় আনার হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের সুযোগে একটা মহল নির্বাচনের আগে পরিকল্পিতভাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বলা হয়েছিল বিচার হবেনা ক্যু হয়ে যাবে সেই বিচার হয়েছে। এরপর যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে একই কথা হয়েছিল কিন্তু বিচার হয়েছি। এবার যদি জাতির পিতা আবার ক্ষমতায় আসেন আমি তো তাকে চিনি যারা মজুতদারি করে জনগনের পেটে লাথি দিয়েছেন, অতি মুনাফার লোভে দাম বাড়িয়েছেন, আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছেন তাদের কাউকে তিনি ছাড় দেবেন না।
বাঘে ধরলে ছাড়ে কিন্তু শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়েন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭ তারিখের পর আর ছাড় নাই। যারা জনগনের বুকে পেটে লাঠি মারে, আগুন সন্ত্রাস করে তাদের শেখ হাসিনা ছাড়বেন না। যদি আমি শামীম ওসমানও হই তবুও ছাড় নাই আর তাই আমরা তাকে এত ভালোবাসি।
এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।