
অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেছেন, জুলাই আগষ্টে পতনের আগ পর্যন্ত শেখ হাসিনা এই গুম খুন চালিয়ে গেছেন। সেসময় তারেক রহমান বলেছিলেন যতক্ষণ হাসিনার পতন না হবে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তারেক রহমানের নেতৃত্বের মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে বিএনপির রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আগে কী এই পিআরের কথা হয়েছিল। নির্বাচন নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নির্বাচন যেন না হতে পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাদের বলতে চাই আপনারা ষড়যন্ত্রের পথ থেকে বেরিয়ে আসুন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আগষ্টেই কী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। জুলাই আগষ্টে আমাদের চার পাঁচশ লোক গুম হয়নি, হাজারও নেতাকর্মী খুন হয়নি। আমাদের হাজারও নেতাকর্মীকে খুন করেছে শেখ হাসিনা। জুলাই আগষ্টে কী শুধু কোটা আন্দোলনের ছাত্ররা এটার পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে? না। এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কোটা আন্দোলন কী শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন ছিল? এটি একটি যুক্তিসঙ্গত দাবী নিয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। আমরাও তো এ আন্দোলনের সাথে সম্মতি জানিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যদি আপোষ করতেন তাহলে কী তার কারাগারে যেতে হত? তিনি আপোষ করেননি বলে তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে, তাকে মৃত্যুর মুখে যেতে হয়েছে। তবুও তিনি আপোষ করেনি৷ আপোষ করেননি তারেক রহমান। তাহলে এত বছর তাকে বিদেশে থাকতে হত না।
তিনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম করবো বলে আমরা আড়ালে আবড়ালে থেকেছি৷ ঘরে থাকলে তো প্রতিদিন গ্রেপ্তার হতাম। একজন নেতা তখনই আত্মগোপনে যায় যখন তিনি আন্দোলন সংগ্রামে জড়িত থাকেন।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান আঁতাত করে চলে গিয়েছিলেন। তবে জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর শেখ হাসিনা তাকে পাকিস্তানের দোসর বলে।