বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

|

আষাঢ় ১৮ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

৩১টি মোবাইল উদ্ধার, মালিকদের কাছে হস্তান্তর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০০:২১, ৩ জুলাই ২০২৫

৩১টি মোবাইল উদ্ধার, মালিকদের কাছে হস্তান্তর

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হওয়া ৩১টি হারানো মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জেলা পুলিশের আইসিটি শাখার চৌকস একটি দল ফোনগুলো উদ্ধার করে।

বুধবার (২ জুলাই ) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার জনাব প্রত্যুষ কুমার মজুমদার নিজে উপস্থিত থেকে মালিকদের হাতে তাদের হারানো ফোন তুলে দেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোন হারিয়ে ভুক্তভোগীরা জেলার বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। সেই জিডিগুলোর সূত্র ধরে এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার এর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন তথা আইসিটি শাখা তদন্তে নামে। পরবর্তীতে আইসিটি টিমের সদস্যরা তাদের মেধা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হারিয়ে যাওয়া এই ৩১টি দামী মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

ফোন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার জনাব প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, “সাধারণ মানুষের সম্পদ রক্ষা করা এবং তাদের আস্থা অর্জন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের আইসিটি শাখা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই সাফল্য প্রশংসার যোগ্য। কোনো নাগরিক যেন হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে আমাদের সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। যেকোনো অপরাধের শিকার হলে বা কিছু হারালে বিলম্ব না করে পুলিশকে জানানোর জন্য আমরা সকলকে অনুরোধ করছি।”

অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইসিটি শাখার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অপ্রত্যাশিতভাবে নিজেদের হারানো শখের মোবাইল ফোনটি হাতে পেয়ে মালিকরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তাদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দের ছাপ।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বলেন, “আমার ফোনটি প্রায় ছয় মাস আগে হারিয়ে গিয়েছিল। আমি আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। আজ ফোনটি ফেরত পেয়ে আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না কতটা আনন্দিত। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”

জেলা পুলিশের এই সাফল্য সাধারণ মানুষের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আস্থা আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং অপরাধীরাও এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।