
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। স্বৈরাচারের পতন এক বছর হয়েছে কিন্ত আজও নির্বাচন হয়নি। আগামী নির্বাচনের পরীক্ষায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে। গত ১৫ বছর আমরা একটি ভোটের জন্য আন্দোলন করেছি। আমরা সেই যুদ্ধে জয়লাভ করেছি। এখন ভোট যুদ্ধে যাতে আমরা জয়ী হতে পারি সে লক্ষে কাজ করতে হবে।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী পারিবারিক মিলনায়তনের মাঠে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যেগে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এখানে কেউ রাজা আর কেউ প্রজা তা হবে না। কেউ হুংকার দিবে, গডফাদার হয়ে যাবে সেরকম দল বিএনপি কখনও হতে দেবে না। অনেক রক্ত দিয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এদেশের আর কোনদিন যেন ফ্যাসিবাদ না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হলে নতুন ও পুরাতনদের সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করতে হবে। সেখানে কোন রাজা প্রজার সৃষ্টি হতে দেয়া যাবে না, কোন গডফাদার, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজের জন্ম হতে দেয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের জমি দখল করেছে, হামলা করেছে, মামলা দিয়ে পুলিশ নিয়ে আমাদের ধরিয়ে দিয়েছি তাদেরকে কোন ভাবেই দলে নেয়া যাবেনা। কোন দোসরদের দলে নেয়া যাবেনা। যারা নতুন করে সদস্য ফরম পূরণ করবে তাদের কে নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো। নতুনরাই এক সময় দলকে নেতৃত্ব দিবো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হলো শান্তির দল। এই দল লুটেরা চাঁদাবাজদের দল নয়। এই দল খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ, কৃষক,শ্রমিক, শান্তি প্রয় মানুষদের দল। এই দলে অসংখ্য সাধারণ ভোটার রয়েছে তাদেরকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি সদস্য ফরম পূরন করে জাতীয়তাবাদী বিএনপির ছায়াতলে আসার জন্য। গত ১৫ বছর আওয়ামীলীগ দুঃশাসন করে লুটতরাজ করে বিদেশে অর্থ পাচার করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে রুপান্তরিত করেছে।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে কে সদস্য নবায়ন ফরম নিচ্ছেন, তা লেখা থাকবে। যাকে ইচ্ছা তাকে ফরম দেবেন, তা হবে না। ইউনিয়নের দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে ফরম দেবেন। কিন্তু বিএনপির লোক হতে হবে।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু। সঞ্চালনা করেন থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী।
এসময় প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, বাংলাদেশোর অধিকাংশ মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গা হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। সে তার সিপাহী শালা নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। তাদের নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার কারন নেই। যারা এক সময় শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন উপমা দিয়ে আপা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে, তারাই আজ বিভিন্ন দলের নেতৃত্বে এসে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছে। কোন অবস্থাতেই যেন যারা আওয়ামী লীগ করেছে বা তাদের দোসর তারা যেনো সদস্য ফরম নবায়ন করতে না পারে। চরম ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপির নামে প্রতিনিয়ত প্রপাগান্ডা চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মনে হয় বেতন দিয়ে বিএনপির বদনাম করার কাজ করা হচ্ছে। নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছুড়াছুড়ি যেন না হয়। মানুষের আস্থা বিনস্ট হয় তা করা যাবেনা। দলকে মানুষের কাছে হেনস্থা করার চেস্টা করা হচ্ছে যাদের পাঁচটা সিট পাওয়ার যোগ্যতা নেই তারাই আজ বিএনপির বিরুদ্ধে বড় বড় কথা কথা বলছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, বিএনপি একটি সুশৃংখল দল। ফতুল্লা বিএনপির ঘাটি। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী দোসররা যাতে সদস্য না হতে পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কারা আন্দোলনে দেশের বাইরে এবং কক্সবাজারে অবস্থান করেছে তাও আমরা জানি। তাদেরকেও আমরা চিহ্নিত করেছি। নতুন করে যাদেরকে সদস্য বানাবো এমন কেউ যেন আওয়ামী দোসর না থাকে সে ব্যাপারে সবার প্রতি অনুরোধ।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন শিকদার, এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমান, ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আল আমিন, স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম লিটন, ফতুল্লা থানা তাতী দলের আহবায়ক ইউনুছ মাস্টার, সদস্য সচিব ইমন।