শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

|

বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সোনারগাঁয়ের জনগনের ভালোবাসা নিয়ে সারাজীবন বেঁচে থাকতে চাই : খোকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সোনারগাঁয়ের জনগনের ভালোবাসা নিয়ে সারাজীবন বেঁচে থাকতে চাই : খোকা

লিয়াকত হোসেন খোকা

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, জনগণের ভালোবাসার মাঝে আমি আমার অস্তিত্ব খুঁজে পাই। তাই জনগণের ভালোবাসা নিয়েই সারাজীবন আমি বেঁচে থাকতে চাই। আমি কোন দিন জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম না। ভবিষ্যতেও বিচ্ছিন্ন থাকবো না। জনগণ ভালো থাকলে আমি ভালো থাকি। আর জনগণ খারাপ থাকলে আমিও খারাপ থাকি। জনগনই আমার অস্তিত্ব। সকল ক্ষমতার উৎস। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েও তিনি জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হননি বলে মন্তব্য করে গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আমি আমার রাজনৈতিক মাঠ ছাড়িনি। প্রতিদিন কোন না কোন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে দেখা করছি। তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত প্রতিদিন উপজেলার সনমান্দি, বৈদ্যের বাজার বারদি, নোয়াগাঁও, কাঁচপুর, সাদিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি ও জনগণের সুখ-দুঃখের বিভিন্ন খোঁজ খবর নিয়েছি। সোনারগাঁও জনগণ আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমিও তাদের অনেক ভালোবাসি।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বাবু, প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক মাস্টার, সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক নাজমুল ইসলাম লিটু, আহবায়ক সদস্য সেকান্দর আলী, সোনারগাঁও পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এমএ জামান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সফি, উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা মোঃ শহীদসহ জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।

সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে বিগত ১০ বছরে সোনারগাঁওয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখেছেন। এলাকায় বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণ করেছেন। ৭১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করেছেন। সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২৫ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতি করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, সনমান্দিতে মুক্তি যুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ ও চিলারবাগে বিজয় স্তম্ভ নির্মাণ করেছেন। টিপুরদিতে ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন নির্মাণ করেছেন। নোয়াগাঁও ইউনিয়নে আশ্রায়ন প্রকল্প নির্মাণ করেছেন। উপজেলার মোগড়াপাড়া, গঙ্গাপুর বাজার ও সোনারগাঁও পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যন্ট নির্মাণ করেছেন।  সোনারগাঁ ডিগ্রি কলেজকে সরকারি করণ করেছেন। প্রায় ৫৭টি ছোট বড় ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শম্ভুপুরা-সাবদি ব্রীজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন প্রক্রিয়াধীন। মোগড়াপাড়ায় ষ্টীল ব্রীজ ভেঙে একটা বড় ব্রিজ অনুমোদন করেছেন। নুনেরটেক ছটাকিয়া দিয়ে একটি ব্রীজের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এটা অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন হলে এর সুফল পাবেন সোনারগাঁওয়ের জনগণ। তিনি বলেন, মোগড়াপাড়া থেকে তালতলা পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করা হবে। প্রায় ১২ টি ব্রীজ ভেঙে প্রশস্ত করে তা পূনরায় নির্মাণ করা হবে। আনন্দ বাজারের মতো সব বাজারে আর সিসি রাস্তা হবে। সময় স্বল্পতার কারনে আমি অনেক কাজ শুরু করতে পারিনি। বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার অচিরেই এসব কাজ উদ্বোধন করবেন। আমার চাওয়া হচ্ছে শুধু সোনারগাঁওয়ের সার্বিক উন্নয়ন হউক। এ জন্য আমি আমার ভাতিজা বর্তমান সংসদ সদস্যকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। ঈদের পরে এ পর্যন্ত যত এলাকায় গিয়েছি আমি জনগণের মধ্যে ব্যাপক সারা পেয়েছি। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবে এটা চিরাচরিত নিয়ম। আমি মনে করি পরাজয়ের পরে উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন, পৌরসভায় ঘুরে জনগণের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে অনেকে এলাকা বিমুখ হয়ে যায়। এটা কোন জনপ্রতিনিধির নীতি হতে পারে না। রাজনীতি করলে জয় পরাজয় থাকবেই। আমি আগামী দিনগুলোতেও সোনারগাঁওয়ের সাধারণ মানুষের সাথে থাকবো। সকলের সাথে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিবো।