
ফাইল ছবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে পোশাকশ্রমিক মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে রিমান্ড শেষে হাজির করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে রোববার ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে আদালত আইভীকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ২৭ মে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাঁকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হাসান।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান প্রথম আলোকে বলেন, হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় রিমান্ড শেষে সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আহত হন পোশাকশ্রমিক মিনারুল ইসলাম। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন গ্রামের বাড়িতে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। পরে নিহত মিনারুলের ভাই নাজমুল হক ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় আরও অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে ৯ মে শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার চুনকা কুটিরের নিজ বাসা থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোট ছয়টি মামলা আছে। এর মধ্যে চারটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মিনারুল হত্যা মামলায় আগামী ২ জুন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাঁর জামিন শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।