
টাকার জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া তিন শিক্ষার্থীর পড়ালেখার সুযোগ করে দিয়েছেন সেই কাউন্সিলর (করোনায় মরদেহ দাফন ও সৎকারে আলোচিত) মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
শুক্রবার দুপুরে শহরের মাসদাইর এলাকায় সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে তিন শিক্ষার্থীর হাতে নগদ অর্থ সহায় তুলে দেন কাউন্সিলর খোরশেদের সহধর্মিনী আফরোজা খন্দকার লুনা।
টিম খোরশেদ ও টাইম টু গিভ এবং নূর সুফিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় তিন শিক্ষার্থীকে ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ভবিষ্যতে তাদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে যেকোন সমস্যায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন কাউন্সিলর খোরশেদ।
এর আগে গতকাল রাতে স্থানীয় অনলাইন নিউজ নারায়ণগঞ্জে ‘৫ হাজার টাকার জন্য কলেজে ভর্তি হতে পারছে না দুই বোন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এছাড়াও সংবাদটিতে আরো দুই বোনের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রমের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর খোরশেদ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে এ সহযোগিতা প্রদান করেন।
কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন,‘আমরা মানবিক কর্মকাণ্ডে এভাবেই নিজেদের সম্পৃক্ত রাখতে চাই। যাতে করে একটি মেধাবী শিক্ষার্থীও যেন ঝরে না পরে। কারণ তারাই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়বে। আমরা চাই তারা যেন সব বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে পারে। এজন্য আমরা সব সময় এসব শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা করবো।’
প্রসঙ্গত হাবিবা আক্তার ও সুমাইয়া আক্তার দুইজন সরকারি তোলারাম কলেজে ভর্তি সুযোগ পেয়েও মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য ভর্তি হতে পারছিলেন। কারণ তাদের বাবা একজন দুধ বিক্রেতা হলেও তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেন। আর তাদের মা আদমজী ইপিজেডের বেকা গার্মেন্টেসে চাকরি করে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। তাদের মধ্যে হাবিবা মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৪.৫২ ও সুমাইয়া জিপিএ ৪.৭১ নম্বর পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। এছাড়াও অন্য আরো দুই বোন পঞ্চম শ্রেনিতে পড়ালেখা করেন।
নারায়ণগঞ্জ পোস্ট