সংগৃহীত
ঈদে নারায়ণগঞ্জ ছাড়বেন ১২ লাখ মানুষ। ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি যাবে এসব মানুষ। আর এত সংখ্যক মানুষের জেলা থেকে বিভিন্ন জেলায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্বল্প ছুটি আর বৃষ্টিতে ভয় সকলের।
যাত্রীকল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জে বসবাসকারী ১২ লাখ মানুষ জেলা ছাড়বে। ঈদের আগে ছুটি পাওয়া সাপেক্ষে নারায়ণগঞ্জের সড়ক পথে, নৌ পথে, বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহনে করে তারা জেলা ত্যাগ করবেন।
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারীদের সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের অবস্থা ভালো হলেও চট্টগ্রামের পথে ভয় টোল প্লাজার ধীরগতি নিয়ে। প্রতি ঈদযাত্রায় গোমতী ও মেঘনা টোল প্লাজায় আটকে পড়ে যানবাহন। এ ছাড়া ঈদের সময় তল্লাশির নামে গাড়ি থামিয়ে হয়রানি ও টাকা আদায় করায় যানজট বাড়ে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নথি বলছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪৮টি যানজটপ্রবণ জায়গা হলো : কাঁচপুর ব্রিজের পূর্ব ঢাল, গ্রিন লাইন ইউ টার্ন, মদনপুর মোড়, কেওডালা ইউ টার্ন, কনকা ইউ টার্ন, মোগড়াপাড়া, মেঘনা টোল প্লাজা, সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড, সানারপাড় ইউ টার্ন, মৌচাক স্ট্যান্ড, দশতলা ভবন, শিমরাইল বাসস্ট্যান্ড, আদমজী রোড।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর মোড় ও পশ্চিম ঢাল, যাত্রামুড়া ব্রিজ, তারাব বাসস্ট্যান্ড, বরাব বাসস্ট্যান্ড, সুলতানা কামাল ব্রিজ, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, বরপা বাসস্ট্যান্ড, পাকিস্তানি (এসিএস) গার্মেন্টস, রবিন টেক্স গার্মেন্টস, ভুলতা মোড়, গোলাকান্দাইল মোড়, বান্টি বাজার, পাঁচরুখি, হুনপাড়া, পুরিন্দা বাজার।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, যানজট নিরসনে নানা উদ্যোগ রয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্য যানবাহন থেকে চাঁদা আদায়ে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।