শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

যুদ্ধের অজুহাতে বেড়েছে আটা-ডালের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:০৭, ১৯ মে ২০২২

যুদ্ধের অজুহাতে বেড়েছে আটা-ডালের দাম

সংগৃহীত

মাত্র ৪-৫ দিনের ব্যবধানে আটা ও ডালের দাম বেড়েছে। আটা ও মসুর ডাল কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আটার কেজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। দেশি মসুর ডালে দাম প্রতি কেজি ১৩০ টাকা।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও ভারত থেকে আমদানি বন্ধের কারণে আটা ও ডালের দাম বেড়েছে।

বুধবার (১৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর ১১ বাজার, কালশী বাজার ও ১২ নম্বর এলাকা ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।

১১ নম্বর বাজারের খুচরা ও পাইকারি আটা ও ডাল বিক্রেতা বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মো. নাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, খোলা আটার কেজি বিক্রি করছি ৫০ টাকা। ঈদের পরেও আটা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি করেছি। আটা-গম আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে।

ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। সাত দিন আগেও ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন বিক্রি করছি ১১০ টাকায়। দেশি মসুর ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে দেশি মসুর ডাল ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে ডাল আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। আটার দাম বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। আটার দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তিনি।

কালশী বাজার এলাকার আল-মদিনা জেনারেল স্টোরের মালিক মো. রহিম জানান, তিনি আগের দরেই পণ্য বিক্রি করছেন। আটা বিক্রি করছেন ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। তিনি বলেন, শুনেছি আটার দাম বেড়েছে। ঈদের পর থেকেই বাজারের সব পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। পাইকাররা যুদ্ধের অজুহাত দিয়ে পণ্যের দাম কয়দিন পর পরই বাড়াচ্ছেন।

দেশি মসুর ডালের দাম বাড়তি, কেজি বিক্রি করছি ১৪০ টাকায়। একসপ্তাহ আগে বিক্রি করতাম ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। ইন্ডিয়ান মসুর ডালের কেজি এখন ১১০ থেকে ১২০ টাকা। দাম বাড়ার আগে কেজি বিক্রি করতাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা, বলেন এ বিক্রেতা।

মিরপুর ১২ নম্বর এলাকার ডেইলি মার্ট জেনারেল স্টোরের মালিক কমোল হোসেন বলেন, আটার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি করেছি ৪০ টাকা করে। খোলা আঁটা কেজি ৫০ টাকা। প্যাকেট ২ কেজি আটার মূল্য ৯০ টাকা। পাইকাররা বলছে আটার দাম আরও বাড়তে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বেড়েছে আটার দাম। এছাড়াও বেড়েছে ডালের দাম। কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। দেশি মসুর ডালের কেজি এখন ১৩০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ডালের কেজি ১০০ টাকা বিক্রি করছি।

১১ নম্বর বাজারের ক্রেতা রাজু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি বাজারে এসেছিলাম আটা কিনতে। ৫ কেজি কেনার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বাজারে এসে দেখি দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। আমি আজকে আটা কিনছি না। আটা কিনতে গেলে বাজারের অন্য পণ্য কিনতে পারবো না। বাজারের পণ্যের যে উর্ধ্বগতি; একটি পণ্য কিনতে গেলে আরেকটি পণ্য কেনা যায় না। প্রতিনিয়তই দাম বাড়ছে প্রত্যেকটি পণ্যের। এর শেষ কোথায়, প্রশ্ন রাখেন তিনি।