সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

|

বৈশাখ ২১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

মাকসুদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মাকসুদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা মামলা

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে যৌতুক চেয়ে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার দায়ে মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী সুলতানা বেগম। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বন্দর থানায় এই মামলা দায়ের হয়। এর আগে সুলতানা বেগম নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করতে গেলে তাকে বন্দর থানায় মামলা রুজু করতে বলেন আদালত। 

মাকসুদ হোসেন বন্দরের মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। 

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, একমাত্র আসামি মো. মাকসুদ হোসেনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে ১৯৯৮ সালের ০৭ জুলাই সুলতানা বেগমকে বিয়ে করেন মাকসুদ। বিয়ের সময় সুলতানার পরিবার মাকসুদের হাতে নগদ ৭ ভরি স্বর্ণালংকার তুলে দেয়। বিয়ের পরে সুলতানাকে নিয়ে একটি ভাড়া করা বাসায় উঠেন মাকসুদ। এর দুই বছরের মাথায় তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। একপর্যায়ে সুলতানা টের পান, মাকসুদ একাধিক নারীর সাথে পরকীয়াতে লিপ্ত। এসব নিয়ে মাকসুদকে প্রশ্ন করেন ও মাকসুদের পৈতৃক বাড়িতে তুলে নেওয়ার দাবি জানান সুলতানা কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে তুলে নেওয়ার শর্ত হিসেবে মাকসুদ সুলতানাকে তার পৈতৃক উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি বিক্রি করে সেই টাকা মাকসুদের হাতে তুলে দেওয়ার চাপ দিতে থাকেন।

সুলতানা আরো উল্লেখ করেন, একপর্যায়ে মাকসুদ স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে সুলতানার বাবার বাড়িতে ফেলে রেখে চলে যান ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অনেক চেষ্টার পরে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর মাকসুদকে তার কন্যার অসুস্থতার খবর পাঠিয়ে আসার অনুরোধ করলে তিনি শ্বশুরবাড়িতে এসে ফের সুলতানার উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি বিক্রির চাপ দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে সুলতানা ওই মাসের ১৪ অক্টোবর যৌতুক নিরোধ আইনে মাকসুদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

কিন্তু এই মামলায় জামিনে কারামুক্ত হয়ে গত ২১ এপ্রিল মাকসুদ তার কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে রাত ১১টার দিকে সুলতানার পৈতৃক বাড়িতে আসেন ও মামলা তুলে নিতে হুমকিধামকি দেন। সেই সাথে  উত্তরাধিকার সূত্রে সুলতানার প্রাপ্ত সম্পতি বিক্রি করে সেই টাকা ব্যবসার জন্য মাকসুদকে তুলে দিতে বলেন। মাকসুদের কথামতো সুলতানা রাজি হলেই তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে তুলে নেওয়া হবে বলেও প্রলোভন দেখান। কিন্তু এসব শর্তে সুলতানা রাজি না হওয়ায় মাকসুদ সুলতানাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসেন। সুলতানার পিতা বাধা দিলে তাকেও লাথি দেন মাকসুদ। মাকসুদ-সুলতানার কন্যা শ্রাবন্তী মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও জখম করেন মাকসুদ। পরে সুলতানাকে বেদম মারধর করেন মাকসুদ। এই বিষয়ে আবার মামলা করলে ও যৌতুক না দিলে সুলতানাকে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মাকসুদ।

এ বিষয়ে জানতে মো. মাকসুদ হোসেনকে কল করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ইতোমধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছেন। পাওয়ামাত্রই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।