শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

|

বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

কেয়ারিয়া মৌজায় জমি অধিগ্রহন বন্ধে মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

কেয়ারিয়া মৌজায় জমি অধিগ্রহন বন্ধে মানববন্ধন

মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কেয়ারিয়া মৌজা এলাকা জমি অধিগ্রহন না করার দাবীতে বিক্ষোভ মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি দিয়েছেন ভূমি মালিকেরা।

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন,  রূপগঞ্জ থানাধীন কেয়ারিয়া  মৌজায় পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। বাস্তবতা হলো, কেয়ারিয়া মৌজায় ভূমির বাজার দর আর সরকারি মৌজা রেটের মধ্যে রয়েছে ২০ গুণ দামের ফারাক। অধিগ্রহনের আওতায় পড়া ভূমি মালিকেরা সেখানে গত বছর প্রতি শতাংশ ৪৫ লক্ষ টাকা করে ভূমি করে। কিন্তু সেখানে সরকারী ভাবে মৌজা রেট মাত্র ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সেই সাথে ১০০ ফুট রোড সংলগ্ন জমির মূল্য শতাংশ প্রতি প্রায় ৮০ লাখ টাকা। এমতাবস্থায় যদি ভূমি অধিগ্রহণ হয় তাহলে তাদের জীবনের সকল সঞ্চয় হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। কেননা মৌজা রেটে ভূমি অধিগ্রহণ হলে সেটি তাদের জমির মূল দামের চেয়েও ২০ শুণ কম হবে। এমতাবস্থায় তারা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি দিয়ে ভূমি অধিগ্রহন না করার দাবী জানিয়েছেন।

মানববন্ধন শেষে ভূমি মালিকেরা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা কেয়ারিয়া এলাকার আদিবাসী। দুই শহরের মাঝে অল্প কিছু জমি রয়েছে। এই জায়গা অধিগ্রহনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০২২ সালে নোটিশ দিয়ে ছিলো।  কিন্তু ২০২৪ সালে পর্যন্ত নিতে পারেনি। এখন নতুন পরে নেওয়ার পায়তার করছে। এরপূর্বে দুই শহরের থেকে জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। আমরা তখন এখানে এসে বাড়ি করছি। আবারো যদি আমাদের জমি অধিগ্রহন করা হয় তাহলে আমরা কোথায় যাবো। আমাদের শেষ আশ্রয়স্থলটুকু হারালে পরিবার সন্তান নিয়ে আমাদের পথে বসতে হবে। 

তারা আরো জানান কেয়ারিয়া মৌজা এলাকায় প্রায় ৫০০শত পরিবার বসবাস করে। এখানে যদি অধিগ্রহন করে তাহলে এই ৫০০টি পরিবার পথে বসবে। এছাড়া তাদেরকে ২০২২ সালে জমি অধিগ্রহনের নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো। জমি অধিগ্রহনের আইন অনুযায়ী নোটিশের ১২০ দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহন না করলে সেই জমি আর অধিগ্রহন করতে পারবেনা। কিন্তু সেই সময় তারা জমি অধিগ্রহন করেনি। এখন নতুন করে আবারো জমি অধিগ্রহনের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি দিয়ে জমি অধিগ্রহন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছি।