প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির ১১৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছেন এক ছাত্রলীগ কর্মী।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী রাশেদুল প্রধান। মামলায় ৩৮ জনকে নামীয় ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শজ (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা।
মামলায় আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন (৫০), রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন (৫৫), বিএনপি নেতা মাসুদ, রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ (৩৩), বিএনপি নেতা কহিনুর (৪৫), রফিকুল ইসলাম লিটন (৪৮), ওবায়দুল হাসান রকি (৩৬), রূপগঞ্জ থানা যুবদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম প্রিন্স (৪৪), জেলা যুবদল নেতা আবু মাসুম (৩৫), হাফেজ আহমেদ (৪৪), আফজাল কবির (৪৫), সুমন মিয়া (২৮),আলতাফ হোসেন (৩৮), মাসুদ প্রধান (৪০), আক্তান হোসেন (৪০), আহাদ কাজী (৪৭), আলী ইসলাম (৪০), দিলবর (৪৫), আরজু মিয়া (৪০), অনিক মীর (২৮), হাসান ইমাম বাবুল (৩০), আলী আকবর মিয়া (৫৬), কাশেম আলী (৫৪), নজরুল (৫৩), হামিদ মিয়া (৫৫), আরিফ ভূইয়া (৩০), গোলাম সারোয়ার সজীব (৩০), মোস্তফা (৪৮), নুরু (৩৮), যুবদল নেতা মামুন (৪০), মামুন (৪০), খোকন (৩৫), কাইয়ুম (৪৫), শুভ (২৫), যুবদল নেতা ওমর (৩৫), মোশাররফ ভূইয়া (৪৮), শরিফুল ইসলাম (৪৫), আল আমিন (৩৬), মুড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজিদ ভূইয়া (৬০) সহ অজ্ঞাত ৭০-৮০ জন।
তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, নিজেরাই পুরাতন একটি মোটরসাইকেল এনে পুড়িয়ে দিয়ে বিএনপি নেতাদের নামে মামলা দিয়েছে আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ নেতারা নিজেরা মোটরসাইকেল পুড়িয়েছে ভিডিওসহ এমন প্রমান তাদের কাছে আছে বলে দাবি তাদের।
বিএনপি ছাত্রদলের মিছিল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী রাশেদুল প্রধানের উপর হামলা ও তার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতাদের নামে এ মামলা করেন রাশেদুল। হামলায় আহত ছাত্রলীগ কর্মীর হাত ভেঙে ফেলার চেষ্টা ও এতে তার হাতে ৬টি সেলাই লাগে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রূপসী প্রধান বাড়ির জালাল প্রধানের ছেলে রাশেদুল প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।রাশেদুল জানান, রূপসী থেকে কাঞ্চন যাবার পথে গাউসিয়ায় দেখি ছাত্রদলের মিছিল। এসময় তারা বলে শালায় ছাত্রলীগ করে ওরে ধর। তাদের মারধরে আমার হাতে ৬টি সেলাই লাগে। আমি যে মোটরসাইকেল দিয়ে যাচ্ছিলাম সেটিও তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এরা সকলের মুখোশ পড়ে হামলা চালায়। তারা প্রায় ৭০-৮০ জন ছিল তবে আমাকে মেরেছে ২০-২৫ জন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন জানান, এটি একেবারে সাজানো ঘটনা। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে সামনে রেখে আমাদের গ্রেফতার করতে ও ভয়ভীতি দেখাতে এসব মামলা। তারা নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিওতে আমরা প্রমান পেয়েছি। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। এসব নাটক করে আন্দোলন দমানো যাবেনা। আশা করছি এসব মিথ্যা মামলায় পুলিশ বিএনপি নেতাদের হয়রানি করবেনা।
এদিকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে রূপগঞ্জের ভুলতা গাউসিয়ায় একটি মোটরসাইকেল পুড়ছে। এতে স্থানীয় লোকজন ভিডিও করছেন এবং আশেপাশে থাকা মানুষ বলছে, কয়েকজন যুবক এ মোটরসাইকেলটি এখানে এনে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়ে চত্বরের দিকে পালিয়ে যায়। মোটরসাইকেল একেবারে পুরাতন বলে ভিডিওতে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন।
