সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

|

বৈশাখ ২০ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

মাংসপট্টিতে পোকা ও পশু জবাই করা রক্তে এলাকায় নোংরা দুর্গন্ধ, সরালো পঞ্চায়েত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ৪ মে ২০২৫

আপডেট: ২৩:৩৯, ৪ মে ২০২৫

মাংসপট্টিতে পোকা ও পশু জবাই করা রক্তে এলাকায় নোংরা দুর্গন্ধ, সরালো পঞ্চায়েত

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের দিগুবাবুর বাজারে মাংস পট্টিতে গরুর মাংস ব্যবসায়ী হাজী মাহাম্মদ হোসেনের ভগ্নিপতি মোঃ কাশেম, মোসাদ্দেক, হাজী মাহাম্মদের ভাই মাসুদ, হাজী মাহাম্মদের ভাতিজাদের গড়ে তোলা পশুর চামড়া সংরক্ষণের গোডাউনে বছরের পর বছর ধরে চামড়া পঁচা দুর্গন্ধ সহ নানা সমস্যায় এলাকাবাসীর অভিযোগে সেটি সরিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত কমিটি।

রোববার (৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজিম আহমেদ।

জানা যায়, বর্ষাকালে চামড়া থেকে বের হত পোকা ও পশু জবাই করা রক্তে এলাকায় নোংরা হত, দুর্গন্ধে আশেপাশে স্থানীয় লোকজনের বসবাস করার কোন উপায় ছিলনা। পাশাপাশি বাতাসের সাথে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে বায়ু দূষণ হয়। এতে ছোট শিশুদের শ্বাসকষ্টসহ মানুষের শরীরের চুলকানি সহ অনেকে সৃষ্ট রোগ থেকে শ্বাস কষ্টে অনেক বয়স্ক লোক মৃত্যুবরণ করেন। 

এলাকাযর পঞ্চায়েত কমিটি অনেক বার চেষ্টা করে এই স্থান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনেক বার আলোচনা বিচার-শালিষ করে। সময় চেয়ে বছরের পর বছর রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন তারা। 

জমির মালিক মোঃ বিপুল হোসেন বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমি, আমার বাবা ও আমার চাচা মিলে ১৯৫২ সনে খরিদ করে উনারা বিভিন্ন ভাবে ভাড়া দিয়েছিলেন। তাদের ভাড়া দিতে চাইলে দেই দিচ্ছি বলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হয় এবং এই জায়গা আমাদের কাছে দিতে হবে এবং দেয়ার জন্য প্রভাব খাটাতে থাকে। এমতাবস্থায় আমি এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে অন্য জনের কাছে  সাফ কবলা বিক্রি করেন অত্র বাজারে ব্যবসায়ী মোঃ হেলাল উদ্দিন প্রধান নিকট। আজকে অত্র এলাকার পঞ্চায়েত কমিটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ বাজার কমিটি সহ এলাকার দাবি মোতাবেক গোডাউন ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয় এবং এলাকার
 পরিবেশ দূষণ বন্ধের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে সকলের সর্ব সময় সচেষ্ট থাকার অনুরোধ জানান সনাতন পাল লেন পঞ্চায়েত কমিটি।