
ফুলের দোকান
বছর ঘুরে আসে একটি দিন ভালোবাসার যদিও এতে জড়িত সকল পক্ষের দাবি ভালোবাসতে কোন দিন ক্ষন সময় লাগেনা। চাইলেই ভালোবাসা যায়।
ফুল মানেই ভালোবাসা কারণ ফুল ভালোবাসার প্রতীক। ভালোবাসা নিবেদনের জন্য তাই প্রাচীনকাল থেকে কপোত-কপোতীরা ফুলকে বেছে নেন।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবস। প্রিয়তমাকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে সাধ্যমত উপহার কিনছেন প্রেমিকরা, সেই সাথে কিনছেন ফুল। ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে শহরে পসরা সাজিয়ে বসেছে স্থায়ী অস্থায়ী নানান ফুলের দোকান। আগের দিন রাত থেকেই শহরের ফুলের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় দেখা গেছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে সরেজমিনে ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কস্থ নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের বিপরীত পাশে অবস্থিত দোকানগুলোতে সকাল থেকেই ফুলের তোড়া তৈরি, ফুল বাছাই ও দোকান সাজানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন দোকানিরা। এছাড়াও শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার আশেপাশে বেশ কিছু অস্থায়ী ফুলের দোকান লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ আবার অস্থানী ভ্যানে দোকান তৈরী করে করে বিক্রি করছেন ফুল।
এ সকল স্থায়ী অস্থায়ী দোকানে লাল গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। এছাড়াও সাদা গোলাপ ৭০ থেকে ৮০ এবং ছোট আকৃতির লাল গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। সূর্যমুখী ১০০ টাকা ও গাদা ফুলের স্টিক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ছোট আকারের ফুলের তোড়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়৷ মাঝারি আকারের ফুলের তোড়া ৩০০ থেকে ৫০০ এবং বড় ফুলের তোড়া ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের বিপরীতে ফুল দোকানের মালিক রাজন সাহা জানান, ফুল আজ অনেক দামে কিনতে হয়েছে। আমাদের গোলাপ কিনা পড়েছে প্রতি পিস ৩৮ টাকা করে। যাতায়াত ভাড়া, আনুসাঙ্গিক খরচ আছে। সব মিলিয়ে দাম ৭০ টাকার উপরে বিক্রি করছি। এটা তো বছরের একটা সময় যখন ব্যবসা হয়। সে হিসেবে একটু তো দাম হবেই।
চাষাঢ়া শহীদ মিনার এলাকার ফুটপাথে অস্থায়ী ফুলের দোকানদার ইমরান জানান, এখন পর্যন্ত বেচা বিক্রি বেশ ভাল। আশা করছি এবার ভাল ব্যবসা হবে।
বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুলের দোকানদার আমজাদ হোসেন বলেন, এখনও কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আগামীকাল বোঝা যাবে বাজার কেমন৷ তবে আশা করছি ভাল ব্যবসা হবে। রাতে বিক্রি হয়েছে অনেক।
এদিকে শহরের ফুলের দোকানগুলোতে ঘুরে অন্যান্য বারের তুলনায় ফুলের দাম বেশ কম দেখা গেছে। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এবার বেশ ভালো ফুলের উৎপাদন হয়েছে। এতে করে খুব সহজেই নিজেদের উৎপাদিত ফুল খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দিতে পারছেন চাষীরা। অন্যদিকে ফুলের আনা-নেওয়ার খরচ আগের তুলনায় কমে যাওয়ার ফলে বিক্রেতারাও কমদামেই ফুল বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ফুলের বাজারদর কম থাকায় সন্তুষ্ট ক্রেতারাও।