শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সৌদিতে কোরআনের ১৫ পারা মুখস্থ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় তাকরীম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

সৌদিতে কোরআনের ১৫ পারা মুখস্থ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় তাকরীম

ফাইল ছবি

সৌদি সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ৪২তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে (১৫ পারা কোরআন মুখস্থ) বিভাগে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম।  

স্থানীয় সময় বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মক্কার পবিত্র হারাম শরিফে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

এ সময় তাকে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সৌদি বাদশাহ সালমানের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাঁর উপদেষ্টা ও মক্কা নগরীর গভর্নর খালেদ আল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এবং দেশটির ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শেখসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।  

গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে এর চূড়ান্ত পর্ব গতকাল সমাপ্ত হয়। এ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশ থেকে ১৫৩ জন অংশ নেন। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ১৫ প্রতিযোগীকে ২৭ লাখ রিয়াল পুরস্কার দেওয়া হয়।

সৌদির ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, এবার ৫টি বিভাগে ১৫ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

সুকণ্ঠে সুন্দর উচ্চারণে কোরআনের ১৫ পারা মুখস্থ বলা বিভাগে তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের সালেহ আহমদ তাকরিম। এ বিভাগে প্রথম হয়েছে লিবিয়ার জিয়াদ মুহাম্মাদ খলিল হাবেশ এবং দ্বিতীয় হয়েছে কেনিয়ার আবদুলরহমান মুসা আবদুল্লাহ।

এর আগে গত ১৬ জুন লিবিয়ার রাজধানী বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৪০টি দেশের মধ্যে সালেহ আহমাদ তাকরীম ৭ম স্থান অর্জনের পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা লাভ করে। তাছাড়া গত ৫ মার্চ ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ২৯টি দেশের মধ্যে তাকরীম প্রথম হয়েছিল।  

উল্লেখ্য, হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম ঢাকার মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদরাসার শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদরাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী।