শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সেজান জুসের কারখানা থেকে আরো কঙ্কাল উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

সেজান জুসের কারখানা থেকে আরো কঙ্কাল উদ্ধার

সেজান জুস কারখানা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডের সেজান জুস কারখানায় তল্লাশী চালিয়ে হাড়ের টুকরো অংশ, মাথার খুলি, চুল উদ্ধারের দুইদিন পর আবারো মিলেছে মাথার খুলি, কঙ্কাল ও হাড়।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।

সিআইডির নারায়ণগঞ্জ অফিসের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ জানান, সেজান জুস কারখানার শ্রমিক মহিউদ্দিন, সাজ্জাদ ও লাবণির পরিবারের অভিভাবকদের অভিযোগ কারখানায় কর্মরত ওই তিন শ্রমিক আগুন লাগার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ভবনে যাদের মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এই তিনজনের মরদেহ শনাক্ত হয়নি। তাদের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি ফায়ার সার্ভিসকে চিঠি দেয়। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এবং রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ভবনটিতে অভিযান চালিয়ে তল্লাশি করা হয়। ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তিনটি হাড়ের অংশ উদ্ধার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ওই ভবনের চারতলায় তল্লাশি চালিয়ে মাথার খুলিসহ পুরো শরীরের কঙ্কাল ও হাঁটুর নিচের অংশের হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। যে স্থান থেকে এসব উদ্ধার করা হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে নিহতরা ওই রুমে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে বের হতে পারেনি। এ রুমটিতে মূলত নারীদের পোশাক বদলানোর রুম।

তিনি বলেন, ‘এগুলো এক ব্যক্তির কিনা কিংবা একাধিক ব্যক্তির, এমনকি নারী না, পুরুষের কিছুই বলা যাচ্ছে না। উদ্ধারকৃত দেহবিশেষ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ রিপোর্টের পরই বিস্তারিত বলা যাবে।'

গত ৮ জুলাই বিকেলে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার ১৪ নম্বর গুদামের ৬ তলা ভবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভবন থেকে লাফিয়ে পরে ৩জন মারা যায় এবং ১০জন আহত হয়। প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরদিন শুক্রবার বিকেলে আগুন নিভিয়ে ফেলার পর ৪৮ জনের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ঘটনার পর ৪ আগস্ট ডিএনএ পরীক্ষা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে প্রথমে ২৬ জন ও পরবর্তীতে ২১ জনের পোড়া মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানাধীন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেম সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে নিরাপত্তা না থাকা সহ বিভিন্ন অবহেলার অভিযোগ এনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এ মামলাটি তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।