সড়ক অবরোধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক শিল্প নগরীর এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে সড়ক অবরোধ করেছে ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
এসময় শ্রমিকদের বাধা দিলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে অবরোধকারীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এসময় বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা পুলিশের জলকামান ভাঙচুর করেছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা মুন্সীগঞ্জ সড়কের শাসনগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গার্মেন্টসটিকে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করে।
জানা যায়, গত মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে শ্রমিকদের। ঈদের পর আজ ২০ তারিখ কারখানা খুলেছে। ২২ তারিখ তাদের বকেয়া পরিশোধ করার কথা বলেছিল মালিকপক্ষ। সকালে কাজে যোগ দিতে এসে বকেয়া বেতনের দাবি করে শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ মঙ্গলবার বেতন দেয়া যাবে জানালে ক্ষুব্দ শ্রমিকরা সড়কে নেমে এসে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানায়। এসময় বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে ও বাঁশ ফেলে সড়কের দুইপাশ বন্ধ করে দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) সেলিম বাদশা জানান, শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন বকেয়া ছিল ঈদের আগে। বোনাসও একসাথে দেয়ার কথা ছিল। ঈদের আগে বোনাস দিলেও মার্চ মাসের বেতন দিতে পারেনি মালিকপক্ষ। তবে মালিকপক্ষ কথা বলে ঠিক করে নিয়েছিল শ্রমিকদের সাথে। আজ কাজে যোগ দিয়েই তারা বেতন চায়। বেতন বৃহস্পতিবার দিতে চাচ্ছিল মালিকপক্ষ। এ নিয়ে কথা চলার মাঝেই শ্রমিকরা সড়কে নেমে পড়ে।
মালিকপক্ষ পরবর্তীতে মঙ্গলবার বেতন দিতে রাজি হলেও শ্রমিকরা তা মানেনি। তারা আজই বেতন চায়।
এদিকে সড়ক অবরোধ করে থাকা শ্রমিকদের সরে যেতে বললে তারা পুলিশের উপর ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ উপায়ন্তর না পেয়ে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন শ্রমিকও আহত হয়েছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে মালিক শ্রমিক সমঝোতার চেষ্টা করছেন।
ক্রোনী গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার ইনতিসার আহমেদ জানান, আমরা ২০ তারিখ কারখানা খুলেছি, ২২ তারিখ বেতন দেয়ার কথা ছিল। সকালে শ্রমিকরা এসে আজই বেতন চায়। পরে তারা সড়ক অবরোধ ও কারখানায় ভাংচুর চালায়। ঈদের আগেই তাদের সাথে ২২ তারিখ বেতন দেয়া হবে বলে কথা হয়েছিল।