ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ শহরের র্যালি বাগান এলাকায় এক ঝুট ব্যাবসায়ীর কাছে দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
আহতরা হলেন বাবলু, শরীফ, স্যাকলাইন। আহতরা ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৭ জন আসামির নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী জাহিদ হোসেন। এর আগে বুধবার আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) শহরের র্যালি বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় আসামিরা হলেন- তানভীর (২২), শাহ-আলম (৩২), আলম চাঁন (২৭), লাল চাঁন (২০), বাবু (২২), সাইফুল ইসলাম বাবু (৩৩), রকসি (২৩), হোসেন (২৩), সোবহান (১৮), আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া (৪৫), অপু (৩০), রায়হান ভূইয়া (২৬), মামুন (৩০), নাছির (৩৮), রিপন (৩৫), হৃদয় (২৫), সাগর (২৫)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ঝুটের ব্যাবসা দেয়ার সূত্র ধরে কিশোর গ্যাং শাহ-আলম বাহিনী বাবলু ও জাহিদ হোসেনের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১২ এপ্রিল পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় বাবলুকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এর কিছুক্ষণ পর সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাসপাতালের উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা দেয়। এসময় বাবলুর দুই সাথী শরীফ ও স্যাকলাইনকে হাসপাতালের কাছে পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। পরবর্তীতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে আহতদের স্বজনদের ওপর হামলা চালায়। এসময় একটি মোবাইল, স্বর্নের চেইন ও চিকিৎসার জন্যে আনা নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।
ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শরীফ জানান, আমরা এ ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও সন্ত্রাসীরা আমাদের ও পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে। আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই আমরা।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন জানান, এখনও আদালত থেকে এ মামলার ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা আসলে মামলা রেকর্ড করে নেব।