নবী উল্লাহ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের নবী উল্লাহ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) ভুক্তভোগীরা এ তথ্য জানান।
উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রতারক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল আদালতে ২টি মামলা , আড়াইহাজার থানায় ১টি মামলা ও সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগে জানা গেছে, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের খন্দকার মোহাম্মদ আমান ও তার ছেলে খন্দকার মোহাম্মদ তাসফিকসহ পরিবারের সকল সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তাদের বাড়িঘর ও যাবতীয় সম্পত্তি কেয়ারটেকার হিসেবে দেখাশোনা করতেন একই গ্রামের লতিফ ও তার ছেলে নবীউল্লাহ।
তাদের সরলতার সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ তাসফিকের স্বাক্ষর জাল করে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রত্যায়ন পত্র তৈরিকরে আম মোক্তারনামা দলিল করে ৫৩ শতাংশ জমি লিখে নেন বাড়ির কেয়ারটেকার লতিফ ও তার ছেলে নবীউল্লাহ। উক্ত জমি পাঁচবাড়িয়া ইপিজেড এর জন্য সরকার অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। প্রতারক পিতা ও পুত্র জমি অধিগ্রহণের ১ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
প্রবাসী তাসফিক অভিযোগ করে বলেন, আমরা পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছি। আম মোক্তার নামা দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে। এছাড়াও আমি বাংলা লিখতে পারি না। অথচ দলিলে বাংলায় স্বাক্ষর করা হয়েছে। যা জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তাসফিকের বাবা খন্দকার মোহাম্মদ আমান বাদী হয়ে নবী উল্লাহ তার পিতা বাবা লতিফ, মা রেখা ও ভাই আল আমিনসহ ৪ জনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালত বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন আড়াইহাজার থানা পুলিশকে। পুলিশ বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করছে।
অপরদিকে, তাসফিকের ফুফু খন্দকার পারভীনকে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে জমি না কিনেই ভুয়া দলিল দিয়ে আরো ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তারা। এই ঘটনায় খন্দকার পারভীনও নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল আদালতে মামলা করলে আদালত নবীউল্লাহের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, আদালত ২টি মামলা পুলিশকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। রিপোর্ট দেওয়ার পর একটি মামলায় নবীউল্লাহের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অপর মামলাটি তদন্ত চলছে।