বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

|

বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সাত খুন: বিচারকাজে ধীরগতিতে স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৩:৪৫, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সাত খুন: বিচারকাজে ধীরগতিতে স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনার ১০ বছর আজ ২৭ এপ্রিল। কিন্তু দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছরেও নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের রায়ের নিষ্পত্তি না হয়ে আপিল বিভাগে আটকে আছে।

জেলা জজ আদালতে ৩৫ আসামির মধ্যে ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিলেও হাইকোর্ট ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রাখেন। কিন্তু আপিল আদালতে ধীরগতির কারণে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা, ভয় ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।

হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগে বহাল রেখে অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি করেন তাঁরা।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের লামাপাড়া এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীবন্দরের শান্তিরচর থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক মো. ইব্রাহীমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল পৃথক দুটি মামলা করেন।

আসামিদের স্বীকারোক্তি, জবানবন্দি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি রায় দেন। রায়ে প্রধান আসামি নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে ১০ বছর করে এবং দুজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

আসামিপক্ষ আপিল করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট হাইকোর্ট ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন। আর বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন।

কিন্তু আপিল বিভাগে সাড়ে ছয় বছরেও এর নিষ্পত্তি হয়নি।

উচ্চ আদালতে ধীরগতির কারণে নিহতদের পরিবারে ক্ষোভ, হতাশা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে জানান নিহত প্যানেল মেয়রের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় রায়ে ধীরগতি হচ্ছে।’

নিহত আইনজীবীর জামাতা বিজয় কুমার পাল বলেন, ‘আপিল আদালত যেন এ রায় বহাল রাখেন। রায় দ্রুত কার্যকর হলে নিহতদের আত্মা শান্তি পাবে।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আসামিদের সঙ্গে সরকারের কিছু উচ্চ পর্যায়ের লোকের যোগসাজশে মামলাটি ডিপ ফ্রিজে পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে শুনানি হচ্ছে না। এতে করে আমাদেরসহ ভুক্তভোগী পরিবার ও সারা দেশের মানুষের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।’