
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনাখালী এলাকায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্বামী পলাতক রয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে শোভা আক্তার(১৯) সাথে একই উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের মশুরাকান্দা গ্রামের উজ্জল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রায়হানের ৪ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। রায়হান বেকার থাকার কারনে দাম্পত্য জিবনে বিভিন্ন সময়ে কলহ লেগেই থাকতো। তাদের দেড় বছর বয়সী সোয়াইব নামের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ও গতকাল বুধবার সকালেও তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বুধবার দুপুরে শোভার বাবার বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে রায়হান তার স্ত্রী শোভা আক্তারকে ঘুমন্ত অবস্থায় মুখে বালিশ চাঁপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। শোভার মা মানছুরা বেগম শোভাকে ডেকে সাড়া না পেয়ে ঘরে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
শোভার মা মানছুরা বেগমের অভিযোগ, তার মেয়ে শোভা রায়হানের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকে তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। রায়হান অলস হওয়ার কারনে কাজকর্ম করতো না। তাদের বাড়িতে এসে থাকতো। এ নিয়ে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার ও বুধবার দু’ দফায় তাদের ঝগড়া হয়। কাজের প্রয়োজনে বাড়ির লোকজন দুপুরে বাইরে থাকার সুযোগে রায়হান তার মেয়েকে বালিশ চাঁপা দিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। তার মেয়ের হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার দাবি করেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত ছাড়া হত্যা না আত্মহত্যা কিছুই বলা সম্ভব না। তবে ডাক্তার শ্বাসরোধের হত্যার বিষয়টি জানিয়েছেন।