
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। তবে যে চাঁদাবাজির অভিযোগে রিয়াদকে দল বহিষ্কার করেছিল সে ঘটনায় তার নামে ভুক্তভোগীর কোন অভিযোগ নেই, এমনকি ভুক্তভোগী নিজেই ঘটনাটিকে পারিবারিক বলে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ফতুল্লা অঞ্চলের জনপ্রিয় এই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে দলের প্রতি তৃণমূল নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে আহ্বান জানিয়েছেন। রিয়াদ চৌধুরীর জনপ্রিয়তা ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার ঘোষণা দেয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে রিয়াদ চৌধুরীকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবী তাদের। আলোচিত সেই অডিও রেকর্ডটি পুরাতন এবং পারিবারিক কথোপকথনের বলে দাবী করেছেন তারা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের খসড়া প্রকাশের পর ফতুল্লাকে ৪ আসনে রাখায় আবারো আলোচনায় উঠে এসেছেন রিয়াদ। ফতুল্লার ভোটার ও নেতাকর্মীরা বলছেন, বহিষ্কৃত না হলে রিয়াদ হতেন এ আসনের একক শক্তিশালী ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তার মনোনয়নে এখানে দলীয় জয় নিশ্চিত হতো।
এর আগে গত ১৫ মে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
এসময় বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান রিজভী। এর আগে ফতুল্লার এক গার্মেন্টস ব্যাবসায়ীকে গার্মেন্টস পোড়ানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠে রিয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ফোনালাপের অডিও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
এদিকে বহিষ্কারের পরপরই বিমানবন্দর থেকে রিয়াদ চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ। তবে রিয়াদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই বলে জানায় ফতুল্লার সেই ডাইং ব্যাবসায়ী আজাদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সেই অডিওটিকে এডিটেড বলে দাবী করেন তিনি।
সেদিন সন্ধ্যায় রিয়াদ চৌধুরীকে আদালতে নিয়ে আসার খবরে আদালতপাড়ায় উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের ব্যাবসায়ী আজাদ বলেন, আমরা কোন অভিযোগ নেই। এটা জানাতেই আমি এসেছি। এটি আমাদের পারিবারিক বিষয়। রিয়াদ চৌধুরী আমার ভাগিনা।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমি এটা জানাতেই এখানে এসেছি যে রিয়াদের সাথে আমি কোন দ্বন্দ্ব বা কোন অভিযোগ নেই। কল রেকর্ডিংটি পুরোপুরি সঠিক না। এটা এডিটেড, এআই দিয়ে বা কোন প্রযুক্তির মাধ্যমে এটা করা হয়েছে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আসন তিনটি হল নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪ ও ৫।
বুধবার (৩০ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নতুন সীমানা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও বন্দর উপজেলা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন, ফতুল্লা থানার পাঁচ ইউনিয়নের সাথে গোগনগর ও আলীরটেক ইউনিয়ন যুক্ত করে নারায়ণগঞ্জ-৪ ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন গঠন করা হয়েছে।