
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন অয়ন ওসমান। এদিনও নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থান নেন। তবে ছাত্রলীগের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই এদিন মাঠে নামে শিক্ষার্থীরা।
সকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে শহরে কফিন মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। গায়েবানা জানাজার নামাজ আদায় করে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। এদিন তৎকালীন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ অনেকেই শহরের চাষাঢ়ায় গায়েবানা জানাজা আদায় করেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। মিছিল শেষে শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় সড়ক অবরোধ করেন ছাত্র-জনতা। নারায়ণগঞ্জ শহরের বাইরেও কাঁচপুর, লিংক রোডের জালকুড়ি ও সাইনবোর্ড এলাকায় অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা।
একই সঙ্গে আশুরাকে কেন্দ্র করে এর মাঝে এদিন শহরে নিহত ছাত্রদের নাম গায়ে লিখে খালি গায়ে তাজিয়া মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় ছাত্র-জনতা। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেওয়া জাফর ইকবালের বক্তব্যের প্রতিবাদে তার বই পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
এদিন দিনভর আন্দোলনে উত্তাল ছিল নারায়ণগঞ্জ। তবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসনটির তৎকালীন এমপি শামীম ওসমান সুস্থ রয়েছেন বলে জানান তার ছেলে অয়ন ওসমান। একই সঙ্গে আন্দোলনকে নাশকতা উল্লেখ করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগকে তা প্রতিরোধের নির্দেশ দেন।