
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এলাকাবাসীর চাপে স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে স্থানীয় ৭ মাদক কারবারী। শনিবার দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার মৈকুলী এলাকা বাজার এলাকায় মাদক কারবারীরা এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এ অঙ্গীকার করেন। এ সময় মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন-উপজেলা মৈকুলী এলাকার হোসেন আলী প্রধানের ছেলে আলী আজগর, একই এলাকার বারেক মিয়ার মেয়ে সুফি বেগম, রাবি বেগম, সাদ্দাত ভুইয়ার ছেলে শ্যামল, কালা চান্দের ছেলে রিপন মিয়া, নুরু মিয়ার ছেলে বিল্লাল ও সায়েদ আলীর ছেলে আলম মিয়া। এলাকাবাসী জানায়, আলী আজগর, সুফি বেগম, রাবি বেগম, শ্যামল মিয়া, রিপন মিয়া, বিল্লাল মিয়া ও আলম মিয়া মৈকুলী এলাকায় বড় মাদকের ডিলার হিসেবে পরিচিত। তারা মৈকুলীসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাদের লোকজন দিয়ে খুচরা ও পাইকারিভাবে মাদক বিক্রি করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে মৈকুলী এলাকায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিসহ এলাকাবাসী মাদক বিরোধী একটি সভার আয়োজন করে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় মৈকুলী এলাকায় কাউকে মাদক ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। মাদক ব্যবসা রোধে এলাকায় স্থানীয়রা অভিযান পরিচালনা করে মাদক কারবারীদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ্য করবে। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ৪২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ্য করে এলাকাবাসী। এতে মাদক কারবারীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়। শনিবার দুপুরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিসহ এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে মাদক ব্যবসায়ী আলী আজগর, সুফি বেগম, রাবি বেগম, শ্যামল মিয়া, রিপন মিয়া, বিল্লাল মিয়া ও আলম মিয়া স্ট্যাম্পে স্বাক্ষ্যর করে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। এ সময় মাদক কারবারীরা বলেন, আমরা পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়েই মাদক ব্যবসা করতাম। এলাকাবাসীর চাপে আমরা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষ্যর করে অঙ্গীকার করছি আমরা আর মাদক ব্যবসা করবো না। যদি আমরা মাদক ব্যবসা করি তাহলে এলাকাবাসী আমাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ্য করতে পারবে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, মাদক ব্যবসা রোধে এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই ভাল। তবে এ সময় যাতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়। মাদক রোধে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের মাসোয়ারার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের কাছ থেকে পুলিশের কে কত টাকা নেয় সেটি সুনির্দিষ্টভাবে বললে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এভাবে ঢালাও ভাবে বললে তো আর হবে না।