শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

আন্দোলনের ভয়াল সময়ে রাজপথে ছিলেন তৈমূর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ২ অক্টোবর ২০২২

আন্দোলনের ভয়াল সময়ে রাজপথে ছিলেন তৈমূর

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে বিগত এক যুগ ধরে আগলে রাখা নেতার নাম তৈমূর আলম খন্দকার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নারায়ণগঞ্জে দলটির সাবেক সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন কারনে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় থেকেই জেলা বিএনপির অন্যতম এই নেতা মূলত সেই সময় দলের হাল ধরেন। 

বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন তৈমূর। তবে এখন বলয় ভিত্তিক রাজনীতিতে বিভক্ত নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সকল বলয়ের নেতাদের এক কাতারে এনে দাঁড় করাতে তৈমূরের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন দলটির কর্মীরা। 

গত এক দশকে দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে উত্তপ্ত সময় ছিল ২০১৩ থেকে ১৮ সাল। হরতাল অবরোধসহ নানান কর্মসূচিতে রাজপথে অত্যন্ত সরব ছিল বিএনপি। একদিকে কর্মসূচি সফল করার চাপ অন্যদিকে পুলিশের হানা। সেই ভয়াল সময়টাতে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার। বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় জর্জরিত হয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে রাজনীতি পরিচালনা করেছেন তিনি। গ্রেফতারও হয়েছেন আর পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লাঠিপেটার শিকারও হতে হয়েছে তাকে। 

২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় দেশব্যাপী বিএনপির আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী কয়েকজন নেতার মধ্যে ছিল তার নাম। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সামনের সারিতে থেকে কাজ করে গেছেন তিনি।

এদিকে তৈমূরের বহিষ্কারে অনেকটা স্থবির নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একটি বড় অংশ। ইতোমধ্যে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের মাঝে তৈমূরের বহিষ্কারাদের প্রত্যাহার করার দাবীও উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত নীরব রয়েছেন তৈমূর। 

নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের জন্য তৈমূর আলম খন্দকারের যে ত্যাগ তিতিক্ষা রয়েছে তা আর কারও নেই। তিনি এই দলকে অনেক দিয়েছেন। তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা চাই তিনি অবিলম্বে তার এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে আবেদন করুক।