এম.এ রশিদ
কারো নাম উল্লেখ না করে বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ রশিদ বলেছেন, আমি কোন অবৈধ টাকা কামাই নাই। আল্লাহ যেন আমাকে অবৈধ টাকা দূরে থাকে। আপনি বালু থেকে জমি থেকে অনেক অবৈধ টাকা কামিয়ে এখন মানুষকে দিচ্ছেন। আমি সেই অবৈধ টাকার উপর থুক দেই। আমি কোন অবৈধ পথে থাকবো না এতে আমার কোন ক্ষতি হয়ে গেলে হোক।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বন্দর ইউনিয়নের আদমপুর এলাকায় একটি নির্বাচনী মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি সমালোচনার উর্ধে নই। কিন্তু যারা আমার সমালোচনা করছে তারা এখন পর্যন্ত সেই সমালোচনার কার যোগ্য হয়ে উঠেনি। কেউ কেউ নতুন নতুন এসে বলে চেয়ারম্যানকে পাওয়া যায়না। আমি বলছি আপনি চেয়ারম্যান হলে আপনাকেও পাওয়া যাবেনা। কারন মাসের মধ্যে ১৭দিনই ডিসি অফিসে মিটিং থাকে। এরপর উপজেলা পরিষদের অফিস করতে হয়। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের পরিবারকেও সময় দিতে পারিনা।
উপস্থিত সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। যা বাংলাদেশের অন্য কোন উপজেলা চেয়ারম্যান বলতে পারবে কিনা আমার জানা নাই। আমি দায়িত্বে থেকে এমন কিছু করিনাই যাতে আপনাদের লজ্জিত হতে হবে। অনেক প্রার্থী আসবে। অনেক প্রতিশ্রুতি দিবে। আমাকে ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সমর্থন দিয়ে সম্মান দেখিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তারাও প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু আমাকে সম্মান জানিয়ে তারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। এই সম্মান আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে আমার আর কিছু চাওয়া পাওয়ার নাই।
কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান এর সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা ইসলাম শান্তা, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম কাসেম, আদমপুর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অখিল উদ্দিন, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার সবুজ, বন্দর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফয়সাল কবির সহ কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ সহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা।