মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

মামলা তথ্য গোপনের অভিযোগ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে, প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

মামলা তথ্য গোপনের অভিযোগ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে, প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অপর এক প্রার্থী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিযোগ দাখিলকারী প্রার্থী মাহমুদুল হাসান। তিনি আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ছেলে।

এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেছেন তিনি।

অভিযোগে একেএম আবু সুফিয়ানকে মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে তিনি লিখেছেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীকে তার নির্বাচনী হলফনামায় সকল ব্যক্তিগত তথ্য নির্ভুল ও সঠিকভাবে উপস্থাপন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এ কে এম আবু সুফিয়ান আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কিন্তু এ কে এম আবু সুফিয়ান নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার আই.আর নং-১৪, ০৫ই ডিসেম্বর ২০১৯ ইং সময় ১৫ টা ৩০ ধারা: ১৯-৯ ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন তৎসহ ১৪৩/১৪৪/১৪৯/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪, পেনাল কোড ১৮৬০ মামলার বিবরণটি তার জমাকৃত মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করেন নাই। যা নির্বাচনী আইনের পরিপন্থী।

এমতাবস্থায়, উল্লেখিত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ কে এম আবু সুফিয়ানকে একজন নির্বাচনী হলফনামায় তথ্যগোপনকারী হিসাবে চিহ্নিত করে তার মনোনয়নপত্র বাতিলপূর্বক আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

এ ব্যাপারে অভিযোগ দাখিলকারী প্রার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি অভিযোগ দিয়েছি এবং সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেছি। যেহেতু একজন করখেলাপী ও আরেকজন তথ্য গোপনকারী আমি তাদের প্রার্থিতা বাতিল চাই।

অভিযোগের ব্যাপারে আরেক প্রার্থী একেএম আবু সুফিয়ান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যেহেতু জানা নেই তাই এ ব্যাপারে এখনি আমি কোন মন্তব্য করতে পারছিনা।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থীসহ ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল, জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসান।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানিয়েছেন, আগামী বুধবার বেলা ১১টায় জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাই অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় প্রত্যেক প্রার্থী ও তার সমর্থনকারী এবং প্রস্তাবকারীকে উপস্থিত থাকতে হবে। ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং অফিসারের সিন্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল এবং ২১ এপ্রিল আপিল নিষ্পত্তি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪ জন।