![নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় জামানত হারাবে আট প্রার্থী নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় জামানত হারাবে আট প্রার্থী](https://www.narayanganjpost.com/media/imgAll/2023June/1707274492-47c669ecf0413065aeae71881740638d-2405230111.jpg)
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আট প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নান্নু, আলী হায়দার, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল ইসলাম মুকুল, এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম খোকন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলেনা আক্তার, কোহিনুর ইসলাম রুমা ও সদ্য সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাহফুজুর রহমান কালাম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬৮টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাবুল হোসেন আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৭৪৮টি ভোট। তিনি পরাজিত হলেও জামানত হারাবেন না। অপর দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নান্নু মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৯৭ ভোট ও আলী হায়দার দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৮০ ভোট তারা জামানত হারাচ্ছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাছুম চৌধুরী তালা প্রতীকে ৩৮ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ মাহাবুব আলম টিয়াপাখি প্রতীকে ৩৬ হাজার ৯৪০ ভোট, আবুল ফয়েজ শিপন চশমা প্রতীকে ৩১ হাজার ৯১ ভোট, আজিজুল ইসলাম মুকুল মাইক প্রতীকে ২০ হাজার ৫৮৬ ভোট, এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া টিউবওয়েল প্রতীকে ১৮ হাজার ৭০৮ ভোট ও জহিরুল ইসলাম খোকন উড়োজাহাজ প্রতীকে ৮ হাজার ৩৭৭ ভোট পেয়েছেন।
নারী (সংরক্ষিত) ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফরিদা পারভীন শ্যামলী ফুটবল প্রতীকে ৫২ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরজাহান সেলাই মেশিন প্রতীকে ৩৩ হাজার ১৮৬ ভোট, হেলেনা আক্তার কলস প্রতীকে ২৪ হাজার ৩৫০ ভোট, মাহমুদা আক্তার ফেন্সি হাঁস প্রতীকে ২৪ হাজার ২৫১ ভোট ও কোহিনুর ইসলাম রুমা বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ২০ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৮ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২০৮টি। অর্থাৎ ভোট পড়েছে মাত্র ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম হয়, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। হিসাব করে দেখা গেছে, মোট প্রদত্ত ১ লাখ ৬৪ হাজার ২০৮ ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট হবে ২৪ হাজার ৬৩১টি। চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নান্নু, আলী হায়দার, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল ইসলাম মুকুল, এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম খোকন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলেনা আক্তার, মাহমুদা আক্তার ফেন্সি ও কোহিনুর ইসলাম রুমা নির্ধারিত ভোটের চেয়ে কম পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এবার নির্বাচন কমিশনে প্রার্থী হওয়ার জন্য জামানত দিতে হয়েছে চেয়ারম্যান পদে এক লাখ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গত মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ১৪২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৪১৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৫৪ জন। এ উপজেলায় ভোট পড়েছে শতকরা ৪৬.৮৩ শতাংশ।