ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কিশোর গ্যাং 'টেনশন গ্রুপ' লিডার রাইসুল ইসলাম সীমান্তের বিরুদ্ধে এবার অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) সকালে সাদমান চৌধুরী (২১) নামের এক যুবক দুজনের নাম উল্লেখ এবং ১০ জনকে অজ্ঞাত নামা দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী সাদমান চৌধুরী ঢাকার লালবাগ থানার ইস্কান্দার চৌধুরীর ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, ঢাকার তানভীর আহমেদ মাহির (১৯) এবং সিদ্ধিরগঞ্জের সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিকের ছেলে রাইসুল ইসলাম সীমান্ত।
অভিযোগপত্র সুত্রে জানা যায়, অপহরণের শিকার সাদমান চৌধুরী তার বন্ধু ১ নং অভিযুক্ত তানভীর আহমেদ মাহিরের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাস্থ মৌচাক এলাকায় ঘুরতে আসেন। তারা সেখানে আড্ডা দেওয়াকালীন সময়ে ২ নং বিবাদী 'টেনশন গ্রুপ' লিডার রাইসুল ইসলাম সীমান্ত তার সঙ্গীয় দলবল নিয়ে তাদের আটক করে মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে প্রথম অভিযুক্ত ভুক্তভোগীর বন্ধু তানভীর আহমেদ মাহির কৌশলে পালিয়ে যান। পরে সীমন্তসহ তার সহযোগীরা সাদমানকে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্ত জখম করেন। এরপর তাকে আটক করে তার বড় ভাইয়ের কাছে ফোন করে অর্থ দাবি করা হয়। এমত অবস্থায় ঘটনার জানাজানি হলে বিবাদী সীমান্ত ভুক্তভোগীর আইফোন-৭ মোবাইল, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন এবং হাতের আংটি ছিনিয়ে রেখে দেন। প্রথম অবস্থায় ভুক্তভোগীর মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিলেও পরবর্তীকে তা ফিরে দেন।
মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে ভুক্তভোগীর ভাই শোভন বলেন, মঙ্গলবার রাতে তার ভাইকে আটক করে তারই ফোন দিয়ে আমাকে কল করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পরবর্তী তিনি অল্প কিছুক্ষণের সময় চায় তাদের কাছে। এর ঘন্টাখানিক পর জানতে পারেন যে তার ভাইকে মারধর করে সঙ্গে থাকা মোবাইল ও স্বর্ণ রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সীমান্তের পিতা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিকের ফোনে একাধিক কল করলেও তিনি রিসিভ করেনি।
অভিযোগের দায়িত্ব পাওয়া (এসআই) একেএম মনজুরুল ইসলাম জানান, আমি এখানো কাগজ হাতে পাইনি রাতে কাগজ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নিবো।