সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সোনারগাঁয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে ওঠা লাশ ২৪ ঘন্টায় উদ্ধার হয়নি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:০১, ২১ মার্চ ২০২৪

সোনারগাঁয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে ওঠা লাশ ২৪ ঘন্টায় উদ্ধার হয়নি 

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউনিয়নের বালিয়াতলী মাঝেরচর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে ওঠা লাশটি উদ্ধার হয়নি। গত ২৪ ঘন্টাও লাশটি উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসেনি।  

বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে লাশটি ওই এলাকায় ভেসে উঠে। ভেসে উঠার পর থেকে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৯টা পর্যন্ত কেউ লাশটি উদ্ধার করেনি। তবে লাশটি মাঝ নদে একটি বাঁশের সঙ্গে বেধে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। তবে পুলিশ এখনো লাশটি সনাক্ত করতে পারেনি। এ লাশটি নদীতে নিখোঁজ ডাকাতের কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরী গ্রামের বিলে গত রোববার রাতে একটি টিলার মধ্যে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল পার্শ্ববর্তী কাজহরদী গ্রামের বানিয়া বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় স্থানীয় কয়েকজন তাদের দেখতে পেয়ে প্রথমে কাজহরদী গ্রামের মসজিদে মাইকে ডাকাতদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। কাজহরদী গ্রামের মাইকে ঘোষনার পর আশপাশের ৫-৭টি গ্রামের মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষনা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে  গ্রামবাসী একত্রে হয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া দিয়ে ধরে গণপিটুনি দেয়। ওইদিন রাতে গ্রামবাসীর গনপিটুনীতে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রহিম, নবী হোসেন ও শের আলী নামের তিন ডাকাত নিহত হয়। এসময় আহত দুই ডাকাততে আশংকাজনভাবে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাকাত সর্দার জাকির হোসেন মারা যায়। 

বৈদ্যোরবাজার নৌ-ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মো. জাকির বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে লাশটি খুজে পাইনি। স্রোতে রাতে বেলায় লাশটি বন্দর এলাকায় চলে যাওয়ায় লাশটি উদ্ধার সম্ভব হয়নি। তবে লাশটি কাঁচপুর ফাঁড়ি পুলিশ উদ্ধার করবেন। 

কাঁচপুর নৌ ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক তমিজউদ্দিন মিয়া বলেন, লাশটি বৈদ্যোরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ উদ্ধার করবেন। আমাদের সীমানা শীতলক্ষ্যা নদীতে। লাশটি ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে উঠেছে। লাশটি ডাকাতের কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।