ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, আপনারা জানেন এখন আমাদের গ্যাস সংকট চলছে। এটা আমাদের তৈরি না। আজকে যদি এই আকাশচুম্বী দাম না হত তাহলে দেশে গ্যাস বিদ্যুতের কোন অভাব হত না। ইউক্রেন যুদ্ধের খেসারত আমরা দিচ্ছি। এখন আমরা সীমিত আকারে গ্যাস বিদ্যুতেট ব্যাবহারে জোর দিচ্ছি সেটা হল আমাদের আমদানি কমাতে। আগে যেটা পাঁচ টাকায় কিনেছি সেটা এখন ত্রিশ টাকা। দাম ছয়গুন বেড়ে গেছে। কয়লার দাম দুই তিনগুন বেড়েছে। এগুলের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। এখানে আমাদের হাত নেই। এই দাম যতদিন বেশি থাকবে আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ থাকবে।
মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) দুপুরে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এলাকায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরার সাহায্যে মনিটরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আমাদের আছে৷ গ্যাস সরবরাহের ক্ষমতাও আছে। এখন যে মূল চ্যালেঞ্জ সেটা হল আকাশচুম্বী দাম। আমার আয়ের মধ্যে আমাদের থাকতে হবে। আমরা তো ইউরোপ না। তাই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। কোন রকম বেআইনি কিছু থাকতে পারবে না।
আপনাদের সহযোগীতার হাতকে শক্তিশালী করতে আজকের এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ক্যামেরা না থাকার কারনে আগে কারও নাম বলা হত না। এখন কেউ করলে আমরা তাদের চিহ্নিত করব। আপনারা যদি সহযোগীতা না করেন তাহলে কিছু হবে না। আপনারা সহযোগীতা করবেন সব হবে। আপনারা দেশকে ভালবাসেন এবং দেশের কল্যান চান। অবৈধ কোন কানেকশন আপনারা বরদাস্ত করবেন না।
তিনি আরও বলেন, তিতাসকে আপনারা সাহায্য করবেন। তারা অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়। আপনারা সাথে থাকলে তারা কোন বিপদের সম্মুখীন হবে না৷ এই অবৈধ সংযোগ যদি আমরা কমাতে পারি তাহলে যে পরিমান গ্যাস আছে তা বৈধ ব্যাবহারকারীরা একটু বেশি পাবে। অনেক জায়গায় দেখা যায় প্রেশার কমে যায়। এগুলো না থাকলে এটা হবে না।
আমাদের মূল কাজ শিল্প ও কৃষিকে বাচিয়ে রাখা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাড়ির কাছে একটু জায়গা থাকলে সেখানে কিছু লাগাও। আমরা সবটুকু জায়গা যদি ব্যবহার করি তাহলে আমাদের অনেক খাওয়া পড়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আজ আমরা খাদ্যশস্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বড় বিপদ আমাদের ওপর আসবে না। সামর্থ্য যদি ভালভাবে ব্যাবহার করি তাহলে শিল্প কৃষি বেঁচে থাকবে এবং আমরা আরও উন্নয়ন করতে পারব।
তিনি বলেন, এই যে গ্যাসের দাম বেড়েছে এটা কতদিন থাকবে আমরা কেউ বলতে পারব না। যারা যুদ্ধ করছে তারা বলতে পারবে। তারা কী অস্ত্র বিক্রির জন্য যুদ্ধ চালাচ্ছে নাকি তেলের দাম বাড়ানের জন্য চালাচ্ছে আমরা জানি না। তবে এতে লাভবান হচ্ছে যারা তেল রপ্তানি করে। আমাদের কোন হাত নেই। আমরা ছোট দেশ কিন্তু আমরা নিজেদের গুছিয়ে রাখি।
এসময় জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ, বিকেএমইএ'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমূখ।
