শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বন্দরের কুড়িপাড়া ভূমি অফিসে অভিনব কায়দায় ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ২৭ মার্চ ২০২৪

বন্দরের কুড়িপাড়া ভূমি অফিসে অভিনব কায়দায় ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ

ফাইল ছবি

বন্দরের কুড়িপাড়া তহসীল অফিসে অভিনব কায়দায় ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার অনুদানের নাম করে ভুমি গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। চাহিদা মতো মাদ্রাসার নামে টাকা না দিলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ভূমি গ্রাহকদের। কোন ভূমি মালিক তার জমির নামজারি বা খাজনা দিতে ভূমি অফিসে এলে বিভিন্ন অযুহাতে টাকা নেয়ার অভিযোগ করেন ভূমি গ্রাহকরা। একাধিক গ্রাহকের অভিযোগ বন্দরের কুড়িপাড়া ভূমি অফিসের নায়েব হাবিব একজনের জমি অন্যজনের নামে নামজারি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। 

বন্দরের মুরাদপুর এলাকার সামসুল হক জানান, তিনি একজন দরিদ্র মানুষ। তার সামন্য কিছু জমির নামজারি করতে কুড়িপাড়া ভ’মি অফিসে গেছে তার কাছ নানা অযুহাতে গত ২৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া পাবদা এলাকার পাবদা মারকাজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১০৮৯ নাম্বারের একটি রিসিটের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অপরদিকে মুরাদপুরের হাওয়া বেগম নাম এক নারীর জমির খাজনা দিতে গেলে জমিতে গড়মিল রয়েছে বলে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে হাওয়া বেগমের স্বামী অভিযোগ করেন। পরে এ জমির খাজনা দিতে তার ভাতিজা কুদ্দুস নামের ব্যক্তিকে জমির খাজনা দিতে পাঠায়। এ সময় নায়েব হাবীব বলেন এ জমির মালিকানা ঠিক নেই। তাই তিনি খাজনা গ্রহন করবেন না। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে নয়েব হাবীব তাকে বহিরাগত গুন্ডা দিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় কুদ্দুস মিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দয়ের করেন। এ ব্যপারে নায়েক হাবীব জানান, হাওয়া বেগমের জমির মালিকানা সঠিক নয় বলে আমার মনে হলে আমি খাজনা নিতে অপারগতা প্রকাশ করি। পরে আমি নিজ লোক দিয়ে তদন্ত করে হাওয়া বেগমের জমির মালিকা সঠিক পাই। কিন্তু এর আগেই হাওয়া বেগমের লোকজন অনলাইমের মাধ্যমে খাজনা পরিশোধ করে ফেলেছেন। 

এ দিকে আব্দুল কুদ্দুসকে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, সে জমির দালালী করে এবং জোর পূর্বক অনৈতিক কাজ করতে চায়।  এ ব্যপারে অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার দারোগা মফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি। তবে হুমকির বিষয়টি গোপনে তদন্ত করে কিছুটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে মাদ্রসার রিসিটে দেয়া মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে লুৎফর রহমান নামে এক ব্যক্তি নিজেকে মাদ্রাসার সভাপতি পরিচয় দিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমার ছেলে তহসীলদার হাবীব সে মাদ্রাসার জন্য টাকা সংগ্রহ করে। এ ব্যপারে বন্দর উপজেলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভূমি কর্মকর্তা বলেন, সরকারি চাকুরিতে বহাল থেকে কোন মাদ্রাসা বা কোন ধরনের অনুদানের চাঁদা গ্রহণ করা যাবে না।