
ফাইল ছবি
পূর্ব বিরোধের জের ধরে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগ ছোটবাগ এলাকার রাজিব (৩৪) কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে নিহতের পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী অংশ নিয়েছেন।
মানববন্ধনের পূর্বে ছোটবাগ থেকে মদনপুর স্ট্যান্ড পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। এতে করে সড়কের দুই পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বন্দর থানাধীন ধামগড় ফাঁড়ির পুলিশ উপস্থিত হয়ে নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেন এবং ৭ দিনের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রæতি দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিলে তখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। জানা গেছে, নিহত রাজিবের পিতা হোসেন মাতবর বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে আয়াত, মিরাজ, জীবন, সিফাত, সিফাদ, রাকিব, মেহেদী, নিলয়, আপন, বিউটি, মুক্তা, ছালেমা, রুনা ও রোকেয়া মোট ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০-২৫ জন অজ্ঞাতকে আসামী করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রাজিব নিজ গ্রাম দেওয়ানবাগের পার্শ্ববর্তী ছোটবাগ গ্রামে অবস্থান করছিলেন। এ খবর পেয়ে আসামীরা একত্রিত হয়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় হযরত আলীর বাড়ির সামনে রাজিবকে একা পেয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের কিছুক্ষণ পর এ হত্যাকান্ডে অংশ নেওয়া মিরাজ, আয়াত ও মেহেদী নামে তিন মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন উত্তেজিত গ্রামবাসী। এ ঘটনায় বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের দ্ব›েদ্বর জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাজিব হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে’।