শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

|

শ্রাবণ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

না.গঞ্জে রমজানে তৃণমূল পর্যায়ে ইফতার মহফিলের নির্দেশ বিএনপির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২১:৫৪, ২ মার্চ ২০২৪

না.গঞ্জে রমজানে তৃণমূল পর্যায়ে ইফতার মহফিলের নির্দেশ বিএনপির

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জে আসন্ন রমজান মাসজুড়ে জেলা ও মহানগর বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে তথা ওয়ার্ড ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত ইফতার মহফিলের নির্দেশ দিয়েছেন দলটির হাইকমান্ড।

শনিবার (২ মার্চ) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সাথে বিভাগের অন্তর্গত জেলা ও মহানগর ইউনিটের নেতাদের সাথে বৈঠকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। 

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সেখানে উপস্থিত নেতারা ২৮ অক্টোবর পরবর্তী সময়ে দলের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেখানে জেলা ও মহানগরগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি দীর্ঘদিন আগে জমা দেয়া হলেও সেটি কেন হয়নি তা নিয়েও কথা হয়। তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে টানা অনেকদিনের দূরত্ব গুছিয়ে নিয়ে আবারো কাছে তাদের টেনে নিতে নানা উদ্যোগের কথা উঠে। পরে সেখানে উপস্থিত নেতাদের নির্দেশ দেয়া হয় রমজান মাসজুড়ে ওয়ার্ড ইউনিয়ন থেকে শুরু করে তৃণমূলের সকল পর্যায়ে নিয়মিত ইফতার মহফিল করার। নেতারা এতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন।

বৈঠকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগীয় অন্যান্য জেলাগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা এতে উপস্থিত ছিলেন। 

সেখানে উপস্থিত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন জানান, দীর্ঘদিন পর সশরীরে দলের নেতাদের সাথে বৈঠক হয়েছে। সেখানে ঢাকা বিভাগীয় জেলা ও মহানগরগুলোর নেতারা নিজেদের মধ্যাকার কুশল বিনিময় থেকে শুরু করে নানা আলাপ আলোচনা করেছি। সামনের দিনগুলোতে কিভাবে বিগত দিনের ভুলগুলো কাটিয়ে উঠা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছে। বিগত দিনের নানা সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। সাংগঠনিক বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। 

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, আমি এখন আমার আহবায়ক সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ইফতার মহফিলসহ নানা বিষয়ে দিক নির্দেশনা পেয়েছি ও আলোচনা হয়েছে।

১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি জমা, অনুমোদন না হওয়ায় ক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র জমা পড়ে থাকলেও কেন এতদিনেও রাজপথে রক্ত ঘাম ও শ্রম ঝরানো নেতাকর্মীদের একটি দলীয় পরিচয় দেয়া যায়নি তা নিয়ে দলের সাংগঠনিক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির নেতারা।

শনিবার (২ মার্চ) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সাথে বিভাগের অন্তর্গত জেলা ও মহানগর ইউনিটের নেতাদের সাথে বৈঠকে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপি নেতারা। পাশাপাশি কমিটি নিয়ে অন্য একটি জেলার সাধারণ সম্পাদকের দেয়া কড়া বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন নেতারা।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত নেতারা কড়া ভাষায় নানা বিষয় তুলে ধরেছেন। কেন দলের ত্যাগী ও রাজপথে রক্ত ঘাম শ্রম ঝরানো নেতাদের কমিটি পড়ে আছে অনুমোদন দেয়া হচ্ছেনা তাও জানতে চান নেতারা। একটি জেলার সাধারণ সম্পাদক যিনি নিজেও জেল খেটে বের হয়েছেন তিনি বলেন, আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগার থেকে বের হয়েছেন, অনেকে এখনো আছেন, অনেকে রক্ত শ্রম দিয়েছেন অনেকের অঙ্গহানি হয়েছে। আমরা ২৮ অক্টোবরেরও অনেক আগে কমিটি প্রস্তুত করে কেন্দ্রে জমা দিয়েহি কই কেন কমিটি হলোনা। এত ত্যাগ শ্রম রক্ত দেয়ার পর তাদের দলীয় কোন পরিচয় না দিয়ে আবারো কর্মসূচীর জন্য কোন মুখে আমরা ডাকবো? 

এসময় ঐ নেতা ক্ষুব্দ হয়ে সাংগঠনিক টিমকে বলেন, যদি আপনারা না পারেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলতে তাহলে আমাদের সাথে যুক্ত করে দিন। আমরা তাকে বলি। কেন এভাবে আমরা এত বিশাল সমাগম করার পরও সেদিন ব্যর্থ হলাম। কেন্দ্রের কাদের দোষ ছিল তাদের দায় ছিল? এগুলো খুঁজে বের করতে হবে। 

জানা যায়, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের অনেক আগেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে জমা দেয় জেলা বিএনপি। সেই কমিটি জমা দেয়ার পর থেকে হবে হচ্ছে করে এখনো অপেক্ষায় আছে। এদিকে জেলা বিএনপির কমিটির মাত্র দুটি পদ ছাড়া আর কারো কোন পদ পদবি নেই। এহেন অবস্থায় গেল আন্দোলনে আলোর মুখ দেখেনি জেলা বিএনপি। এ বিষয়টিও উঠে আসে সাংগঠনিক টিমের সাথে আলোচনায়।

বৈঠকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগীয় অন্যান্য জেলাগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা এতে উপস্থিত ছিলেন।