
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একসঙ্গে ১০ হাজার মুসল্লীর ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
শনিবার (৭ জুন) উপজেলার দড়িয়াকান্দি গ্রামে সকাল আটটায় ঈদুল আযহার নামাজের পর গ্রামবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন বিএনপির এ নেতা।
গ্রামবাসী বলছেন, এর আগে এতো মানুষের একসাথে নামাজ আদায় কোনোভাবে সম্ভব হয়নি। দড়িয়াকান্দির এই জায়গাটি প্রায় ১৫ ফিট গভীর ছিল। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন ভাই নিজে উদ্যোগ নিয়ে জায়গাটি ভরাট করে আমাদের জন্য ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করেছেন।
ঈদগাঁয়ে আসা মুসল্লীরা বলেন, গ্রামগুলোতে একাধিক মসজিদ থাকায় মুসল্লীদের বিভক্ত হয়ে নামাজ আদায় করতে হতো। কিন্তু এবার এতো মানুষের একসাথে নামাজের ব্যবস্থা করায় আমরা একত্র হতে পেরেছি। একই ছাদের নিচে আমরা সবাই নামাজ আদায় করেছি। এটা আসলেই ভালো লাগার মতো একটা বিষয়। খোকন ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই তিনি রমজানের ঈদের সময় আমাদের কথা দিয়ে ছিলেন ১০ হাজার মানুষের নামাজের ব্যবস্থা করবেন। তিনি কথা রেখেছেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১৭২ শতাংশ জায়গা জুড়ে খানা খন্দে ভরা ছিল জায়গাটা।সামান্য বৃষ্টি হলেই জায়গাটিতে পানি জমে যেত। মুসল্লীদের নামাজ পড়তে খুব কষ্ট হতো। তাই আমি নিজের উদ্যোগে এই জায়গাটি ভরাট করেছি। এবার ঈদুল আযহার নামাজের জামাতে প্রায় দেড়'শ কাতারে ১০ হাজার মানুষের নামাজের ব্যবস্থা করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাদের দড়িয়াকান্দি গ্রামবাসী বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। গ্রামবাসীর মধ্যে প্রচুর মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। বিষয়টা আমাকে খুবই মর্মাহত করেছে। এজন্য আমি এমন উদ্যোগ নিয়েছি এবং সফল হয়েছি। এবার ঈদে আমাদের ঈদগাঁয়ে দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ নামাজ পড়তে এসেছে।
এই ঈদগাঁয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিএনপির এ নেতা বলেন, আগামী ঈদে ২০ হাজার মানুষের নামাজের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া জায়গাটির সৌন্দর্য বর্ধন করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। এজন্য সরকারি অনুদানের জন্য আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসে যোগাযোগ করবো।