
বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম
বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ২০২৩ সালে করোনার দুর্যোগের সময় তৎকালীন মেয়র তাপস সতেরো দিনের ছুটি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। যে দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল সেটি আর হয়নি। ডেঙ্গুর সময় আমাদের হাসপাতালগুলোতেও সংকট ছিল।
সোমবার (৭ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর আয়োজনে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক সেমিনারে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৪৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি করোনায়ও অনেক রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন। দুর্ভাগ্য আমাদের আমরা এটা নিয়ে ব্যাস্ততার জন্য আলোচনা করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে থাকে৷ তারা জনগণকে নিয়েই কাজ করে। করোনার সময় যখন মানুষ মানুষের খোঁজ নিতে ভয় পেত সেসময়ও ড্যাব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও বিএনপি নেতাকর্মীরা সারা দেশে চিকিৎসায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতার প্রয়োজন। গত বছর আমরা পুরো ঢাকা শহরে লিফলেট বিতরণ করেছি। এরপর ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে গিয়েছিল। ২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছিল মানুষের সচেতনতার কারনে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মারা এখনও সব জায়গায় আছে। তারা সবসময় চক্রান্ত করতে চায়। আমি সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা দয়া করে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করুন। নয়ত মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষের চাহিদা ও আকাঙ্খা পূরণের দায়িত্ব আপনাদেরই। হাসপাতালগুলোতে পর্যন্ত মেডিসিন ও রেশন আছে কীনা তা লক্ষ্য রাখবেন। স্বাস্থ্য সেক্টরের দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করার সময় এখনই। এ ব্যাপারে আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি ও সচেতনতা দরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোজেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুশিউর রহমান।