
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার।
ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লার ভোট বিপ্লব হবে। এই বিপ্লব হবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, দেশের সার্বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমীর, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার।
নারায়ণগঞ্জ শহরে পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি এবং ন্যায়-ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট চেয়ে ব্যাপক গণসংযোগ কর্মসূচি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (৭ অক্টোবর) বাদ আসর শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনার থেকে শুরু করে বিবি রোড হয়ে ডি আইটি মার্কেট এলাকা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এ গণসংযোগ।
এসময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, দেশের মানুষ ততই জামায়াতের প্রতি তাদের ভালোবাসা বাড়িয়ে দিচ্ছে। জনগণ এখন বুঝতে পারছে, ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতের বিকল্প নেই। আমরা বিশ্বাস করি, পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণের প্রকৃত ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে।
এ সময় শতাধিক নেতা-কর্মী দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিলাকারে প্রচারণা চালান। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং স্থানীয় দোকানিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।
গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, এইচ. এম. নাসির উদ্দিন, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ওমর ফারুক, এবং মহানগর মজলিসে শুরা সদস্য ফরিদ উদ্দিন আহমাদসহ আরও অনেকে।
গণসংযোগ চলাকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দেওয়া হয় “দাঁড়িপাল্লার জয় হোক”, “ইনসাফের পক্ষে এক হই”, “পি আর পদ্ধতি চাই” ইত্যাদি।
জামায়াতের নেতারা জানান, তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ চান এবং জনগণের অংশগ্রহণে একটি ন্যায়নিষ্ঠ ও সমান ভোটমূল্যের নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই গণসংযোগকে আগামী নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫ আসনে জামায়াত এবার সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে।
মাওলানা জব্বার বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ দাঁড়িপাল্লার ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রমাণ করবে—বাংলাদেশে এখনও সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে মানুষ জেগে আছে।”