
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
কদম রসুল সেতুর নারায়ণগঞ্জ অংশের নকশা প্রয়োজনে পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, নগরবাসীর সাথে আলোচনা করেই সেতুর শুরু ও শেষের স্থান নির্ধারণ করা হবে, যাতে কোনোভাবেই মানুষের ভোগান্তি না বাড়ে বরং কমে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসকের সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ। এসময় ব্যবসায়ী নেতাদের বিভিন্ন সমস্যা শোনার পর তিনি এই আশ্বাস দেন।
প্রশাসক বলেন, সেতু তৈরির মূল উদ্দেশ্য স্থানীয়দের দুর্ভোগ কমানো, বাড়ানো নয়। তাই মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই কাজ করা হবে। সাধারণ মানুষের মতামত নিয়েই সেতুর অবস্থান ও নকশা চূড়ান্ত করা হবে।
বিদেশের অভিজ্ঞতা টেনে তিনি আরও বলেন, আমি যখন পড়াশোনার সুবাদে অস্ট্রেলিয়ায় ছিলাম তখন দেখেছি রাস্তা বা যেকোনো সরকারি কাজের আগে এলাকাবাসীকে নোটিশ দেওয়া হয়। সেখানে কাজ শুরুর তারিখ, শেষের তারিখ, এমনকি কেন কাজ হচ্ছে তা পর্যন্ত জানানো হয়। আমরা চাই এখানেও সেভাবেই কাজ হোক। অযথা রাস্তা দখল বা দীর্ঘদিন ভোগান্তি যেন না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হবে।
এছাড়া স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি পূরণে চেম্বার অব কমার্সের সাথে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রশাসক বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন স্বাস্থ্য চ্যারিটি চালু করতে পারি। উপজেলা ভিত্তিক কমিটি করে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে যেসব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব থাকে, সেই চ্যারিটি থেকে তা সরবরাহ করা যেতে পারে। অনেক সময় হাসপাতালে দামি মেশিন থাকলেও ছোটখাটো কিট বা এক্স-রে প্লেটের অভাবে চিকিৎসা ব্যাহত হয়। এগুলো যেন না ঘটে সে দিকে উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া, সিনিয়র সহসভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, সহসভাপতি মোহাম্মদ আবু জাফর, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, গোলাম মুহাম্মদ কায়সার, মো. সোহাগ, মো. গোলাম সারোয়ার (সাঈদ), মো. মজিবুর রহমান, হোসেন মোহাম্মদ তানিম তৌহিদ, আহমেদুর রহমান তনু, মো. হানিফ মিয়া, আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।