মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

|

আশ্বিন ২০ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

শিক্ষার্থী ইসমাইল হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:২৫, ৬ অক্টোবর ২০২৫

শিক্ষার্থী ইসমাইল হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি শ্রাবন ওরফে শাওনকে (২৪) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১।

সোমবার (৬ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-১১ এর অপস অফিসার মোঃ গোলাম মোর্শেদ। 

গ্রেপ্তারকৃত আসামি শাওন (২৪) গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার চরগোবরা এলাকার মোঃ ওবায়দুল্লাহর ছেলে।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর রাতে ঢাকার বিমানবন্দর থানাধীন বিমানবন্দর রেল স্টেশন এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, ইসমাইল হোসেন জিসান ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। সে পড়াশোনার পাশাপাশি রাইড শেয়ারিং পাঠাওয়ে মোটরসাইকেল চালাতেন। ২০১৯ সালের ১২ মে মোটরসাইকেল নিয়ে শ্যামলীর বাসা থেকে তিনি বের হন। কিন্তু সেদিন বাসায় না ফিরলে পরদিন তার বাবা সাব্বির হোসেন শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের ১১ দিন পর ২৩ মে গাজীপুরের গাছা থানা এলাকার একটি বাসার সেফটি ট্যাংক থেকে ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালত ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। 

জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি হাসিবুল হোসেন সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইসমাইল হোসেনকে অফ লাইনে ৮০০ টাকায় গাজীপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভাড়া করেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মামলার আরেক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমান জুস কেনেন। পরে ইসমাইলকে গাজীপুরের বাসায় নিয়ে যান হাসিবুল। ইফতারির সময় ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত জুস ইসমাইলকে খাওয়ানো হয়। পরে অচেতন হয়ে পড়লে তারা শ্বাসরুদ্ধ করে ইসমাইলকে হত্যা করেন। পরে তার মরদেহ সেফটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দিয়ে তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যান। এরই প্রেক্ষিতে নিহতের পিতা সাব্বির হোসেন সহিদ বাদী হয়ে ডিএমপি ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় সূত্রে বর্ণিত মামলাটি দায়ের করেন। সাড়ে পাঁচ বছর ধরে বিচারকার্য শেষে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাসিবুল হোসেন ওরফে হাসিব, শ্রাবণ ওরফে শাওন ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। এদের মধ্যে শাওন পলাতক ছিলেন। হাসিব গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাটের, শাওন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর গোবরার ও নোমান রাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পঞ্চকরনের বাসিন্দা। তারা তিনজনই বন্ধু। মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সজনী আক্তার নামের একজন। রায় ঘোষণার পর হাসিবুল ও আব্দুল্লাহ আল নোমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে র‍্যাব-১১ পলাতক আসামি গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১১ ও র‍্যাব-১ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ঢাকার বিমানবন্দর থানা এলাকা হতে শ্রাবনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত আসামি শ্রাবণ ওরফে শাওনকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম করার জন্য বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।