
ফাইল ছবি
বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য চতুর শিখন সরকার শিপনই উস্কানীদাতা। লাঙ্গলবন্দ রাজঘাটে শিপনের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদ্য সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রাজিব মন্ডল এর উপর হামলা হয়।
লাঙ্গলবন্দে স্থানীয় দুই ব্যক্তি গণমাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিন্তু যে কোন অবস্থায় সাক্ষী দিতে রাজি। ওই দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে রাজঘাট সংলগ্ন ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে ফ্রন্ট কমিটির লোকগুলো যেন একজনও সুস্থ শরীরে যেতে না পারে বিপ্লব সাহা গং কে নির্দেশ দেন শিখন সরকার শিপন (৫৫) পিতা: মৃত ধীরেন্দ্র সরকার ও শ্যামল বিশ্বাস (৪৮) পিতা: মৃত সুধাংশু বিশ্বাস।
গত শুক্রবার ৪ঠা জুলাই নিতাই চৈতন্য আশ্রম আয়োজিত রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয় বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে। সেদিন আনুমানিক ৬:০০ ঘটিকায় রথযাত্রা শেষ করে লাঙ্গলবন্দ রাজঘাট সাকিনস্থ মন্দিরের সামনে কমিটির লোকজন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। মন্দির কমিটি নিয়া কথাবার্তার একপর্যায়ে বিপ্লব সাহা (৪০) পিতা: সুরেশ চন্দ্র সাহা এর নেতৃত্বে অন্তর চন্দ্র দাস (২৮), লিটন চন্দ্র দাস (৪০) পিতা: মৃত বাবুল সহ আরও অজ্ঞাত অনেকেই ক্ষিপ্ত হইয়া রিপন দাস (৩৫) পিতা: মতি চন্দ্র দাস কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।
সেসময় এডভোকেট রাজিব মন্ডল গালি দিতে নিষেধ করেন। কিন্তু শিপন ও শ্যামলের পূর্ব পরিকল্পনায় নির্দেশ অনুযায়ী বিপ্লব সাহা গং রিপন দাস কে চড় থাপ্পড় কিল-ঘুষি মারিয়া নীলাফুলা করে। এডভোকেট রাজিব মন্ডল রিপন দাস কে বাঁচাইতে গেলে বিপ্লব সাহা, অন্তর চন্দ্র দাস, লিটন চন্দ্র দাস এডভোকেট রাজীব মন্ডল উপরেও হামলা করে। বিপ্লব সাহা রাজীব মন্ডলের গলায় থাকা ৮ আনা স্বর্ণের চেইন (যার বাজার মূল্য ৭৫০০০/-) ছিড়ে নিয়ে যায়। অন্তর চন্দ্র দাস এডভোকেট রাজিব মন্ডলের মানিব্যাগে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সেসময় রাজঘাট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুকেন চন্দ্র দাস আগাইয়া আসলে লিটন চন্দ্র দাস ও বিষু সাহা তাহার শার্ট টানিয়া ছিঁড়ে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারিয়া নীলাফুলা করে। সুকেন চন্দ্র দাসের গলায় থাকা ৫ আনা স্বর্ণের চেইন (যার বাজার মূল্য ৬০০০০/-) মানিব্যাগসহ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার দিন ভুক্তভোগীরা বন্দর থানায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে রিপন দাস কে বাদী করে অভিযোগ করে। এ বিষয়ে রিপন দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে জানা যায়, রিপন দাস (আমরা) ভুক্তভোগী। আমাদের উপর বিনা কারণে হামলা হয়েছে। আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে হামলাকারীদের অভিযোগেই নাকি মামলা হয়। ভুক্তভোগীদের হতে এমন ভাষ্য পাওয়া যায়।